কলকাতায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু যুবকের, 'ইচ্ছাই নেই কাজের', জমা জল নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ

  • প্রবল বর্ষণে জমা জলে ফের বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু 
  • মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে জোকা এলাকায় 
  • বছর ছত্রিশের মানিক বাড়ুই হরিদেবপুরের বাসিন্দা 
  • রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ 
     

Asianet News Bangla | Published : Jun 18, 2021 9:16 AM IST / Updated: Jun 18 2021, 02:47 PM IST


প্রবল বর্ষণে জমা জলে ফের বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু কলকাতায়। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে জোকা এলাকায়। রাস্তায় ছিড়ে থাকা বিদ্যুৎতের তারে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক যুবক। সূত্রের খবর, বছর ছত্রিশের মানিক বাড়ুই হরিদেবপুরের বাসিন্দা। এদিকে ভারী বৃষ্টিতে জলে ডুবে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে কলকাতায়। এহেন পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 

আরও পড়ুন, প্রবল বর্ষণে চোপড়া ফ্লাইওভারে ফাটল, নদীর জলে তছনছ ঘাটালের সেতু, বন্যা হতে পারে কি 

 

 

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মাঝ রাতে  মানিক বাড়ুই নামের হরিদেবপুরের ওই বাসিন্দাকে জমা জলের মধ্য়ে মোটরবাইক নিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। মানিককে রাস্তা থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যায় হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা সেখানে  মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনা অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, প্রবল ঝড়-বৃষ্টির জেরে এলাকায় জল জমেছিল। এবং বিদ্যুতের তাঁর ছিড়ে মাটিতে পড়ে যায়। ওই বাইক আরোহী ওখান দিয়ে যাবার সময়ই বিদ্য়ুৎপৃষ্ঠ হন। জানা গিয়েছে,  মানিক বাড়ুই পেশায় একজন চালক। এই ঘটনা হরিদেবপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আরও পড়ুন, 'TMC সেটিং মাস্টার', কৈলাস বিরোধী পোস্টারে একাকার কলকাতা  

 

 

এদিক জমা জল নিয়ে জর্জরিত কলকাতা। ক্ষোভ উগরে দিয়ে মমতার সরকারকে  এদিন নিশানা করেছেন বিজের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 'যারা দশ বছরে পারে না, তাঁরা এক বছরে পারবে বলে কেউ বিশ্বাস করবে বলে প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ। তিনি আরও বলেছেন, যখন গত বছর আমফান এল, ৭ দিন ধরে অন্ধকার ছিল। আজকে যারা রাজ্যপালের সমালোচনা করছেন, সেচমন্ত্রীর দোষ ধরছেন, তাঁরা ক্ষমতায় থাকাকালীন, মেয়র হয়েও কাজ করতে পারেননি। কারণ তাঁদের ইচ্ছাই নেই কাজ করার। শুধু রাজ্যপাল এবং বিরোধীদের আক্রমণ করে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা চলছে।'  


 

Share this article
click me!