স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রসাদ নাড্ডা। কলকাতায় শহিদ মিনারের সভায় এক লাখের জমায়েতের সম্ভাবনা দেখছেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে সভাপতি জাানিয়েছেন, কেবল কলকাতা ও আশপাশের এলাকার লোকেরাই এই সভায় অংশ নিতে আসবেন। রাাজ্য় স্তরের সবাইকে নিয়ে এই মিটিং হচ্ছে না।
উত্তরবঙ্গে চলবে বৃষ্টি, দক্ষিণবঙ্গে কাল থেকে বাড়বে তাপমাত্রা
দিলীপবাবু জানান, সিএএ নিয়ে বিজেপির অভিনন্দন যাত্রায় এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন তাঁরা। যেহেতু এই নাগরিকত্ব আইন পাশ নিয়ে অমিত শাহের অবদান রয়েছে,তাই তাঁকে এই সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এদিকে বিজেপির এই সভা ঘিরে ইতিমধ্য়েই ব্যঙ্গ করতে শুরু করেছে তৃণমূল। ঘাসফুলের নেতাদের দাবি,লোকসভার পর পদ্মফুল দেখেও হাতে নিচ্ছে না রাজ্যবাসী। তাই লোক হবে না দেখে শহিদ মিনারের মতো ছোট জায়গায় সভা করছে দিলীপ ব্রিগেড। খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়ে মাঠ ভরাতে পারবেন না বুঝেই এই কাজ করেছেন তাঁরা।
যদিও এই দাবি খারিজ করেছেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, চারিদিকে পরীক্ষার কারণে বিশাল কিছু আয়োজনের দিকে যায়নি দল। ছোট আকারেই বড় কাজ করা হচ্ছে। তাই শহিদ মিনারকেই সভাস্থল হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
মোদীর ইচ্ছায় 'বাগড়া মমতার', টাকা থেকে বঞ্চিত ১০ লক্ষ কৃষক
গত ২০ ফেব্রুয়ারি শহিদ মিনারে নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে সভার অনুমতির আবেদন করেছিল বিজেপি। নিয়ম মেনে আর্মির ইস্টার্ন কম্যান্ডকে চিঠি লিখে নির্দিষ্ট জায়গায় সভার অনুমতি চাওয়া হয়। বিজেপির তরফে হুমকি দিয়ে বলা হয়, শহিদ মিনারে কলকাতা পুলিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা আটকালে আদালতে যাবেন তাঁরা। ইস্টার্ন কমান্ড অনুমতি দিলে কলকাটা পুলিশের তরফে বিজেপির পরিচালনা কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে জানিয়ে দেওয়া হয়, সোমবার সভা করা যাবে।
তবে সভা করা গেলেও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী যারা অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন তাঁদের মাইক্রোফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ রাখতে হবে। কারণ বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ে ইতিমধ্যেই হিমশিম খাচ্ছে পরীক্ষার্থীরা। সেই সময় মাইকের ব্যবহার নিয়ে চিন্তিত সাবই। এ বিষয়ে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার জানান, কলকাতা পুলিশ সভা করার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু ওই জায়গায় পরীক্ষার্থীদের কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। শহিদ মিনার যেহেতু জনবসতিপূর্ণ এলাকা নয়,তাই আমরা শান্তিপূর্ণভাবে জনসভা করব।
মেয়াদ ফুরোচ্ছে বাংলার ৫ সাংসদের, ২৬ মার্চ রাজ্যসভার ভোট
সিএএ-এর সমর্থনে এর আগে অক্টোবরের ১ তারিখ নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে সভা করেছিলেন অমিত শাহ। সম্প্রতি কলকাতায় এসে সিএএ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশে সিএএ নিয়ে যতই বিক্ষোভ হোক না কেন, তিনি যে পিছু হটছেন না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এবার তাঁর পথে হেঁটেই সিএএ নিয়ে শহিদ মিনারে সভা করবেন অমিত শাহ।