নেতাজি নগরে বৃদ্ধ দম্পতি খুনের কিনারা এখনও হয়নি। তার মধ্যেই খিদিরপুরের একটি বাড়ি থেকে দুই ভাইয়ের পচাগলা দেহ উদ্ধার হল। একই সঙ্গে ঘরের মধ্যেই সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়েছিলেন তাঁদের বোন। ওই মহিলাকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হলেও সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, খিদিরপুরের কার্ল মার্ক্স সরণীর একটি বাড়িতে দাদা ত্রিলোকিপ্রসাদ গুপ্ত (৫৮) ও ভাই ভোলাপ্রসাদ গুপ্ত(৫৩)-র সঙ্গেই থাকতেন শান্তি গুপ্ত (৫৬) নামে এক মহিলা। গত বুধবার থেকে কাউকেই ওই বাড়ি থেকে বেরোতে দেখেননি প্রতিবেশীরা। এ দিন সকালে ওই বাড়ি থেকে পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
খবর পেয়ে বাড়ির দরজা ভেঙে ওই ভিতরে ঢুকে ত্রিলোকিপ্রসাদ এবং ভোলাপ্রসাদের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘরের মধ্যেই অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন তাঁদের বোন শান্তি গুপ্ত। তাঁকে দ্রুত এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। পরে সেখানে মারা যান শান্তিদেবী। দেহ দু'টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন- বাড়িতেই খুন নিঃসন্তান বৃদ্ধ দম্পতি, খুনের পিছনে কি প্রোমোটিং চক্র
আরও পড়ুন- আবাসনের ঘর থেকে উদ্ধার যুবতীর পচাগলা দেহ! এলাকায় চাঞ্চল্য
তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, রহস্যজনক মৃত্যু হলেও খুন বা খুনের চেষ্টা হয়নি। তবে কোনওভাবে ঝাঁঝালো গ্যাস থেকে বিষক্রিয়াতেই ওই দুই ভাই এবং তাঁদের বোনের মৃত্যু হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতদের ঘরেই একটি জেনারেটর দেখতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ঘরের জানলা, দরজাও বন্ধ ছিল। ফলে জেনারেটরের বিষাক্ত ধোঁয়ায় কোনওভাবে শ্বাসরোধ হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।