কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন, ভবানীপুরের হোটেলে উদ্ধার অপহৃত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দেহ

লি রোডে ছেলের সঙ্গে ছিলেন ওই ব্যবসায়ী। কিন্তু দোকান থেকে পান কিনে বেরোতেই তাঁকে অপহরণ করে পাঁচজন। তারপরে এলগিন রোডের হোটেলে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ।
 

Web Desk - ANB | Published : Feb 15, 2022 5:43 AM IST / Updated: Feb 15 2022, 12:47 PM IST

কলকাতায় (Kolkata) অপহরণ করে খুন করা হল ব্যবসায়ীকে (Businessman)। সোমবার সন্ধেতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ (Kidnap) করা হয়েছিল। কিন্তু, তারপর কয়েক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করা হয়েছিল তাঁর পরিবারের সদস্যদের। এর জেরে আতঙ্কিত হয়ে যান তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই ব্যবসায়ীর দেহ পাওয়া যায় এলগিন রোডের হোটেলে (Elgin Road)। পাওয়া যায়নি মুক্তিপণের টাকাও। লি রোডে (Lee Road) ছেলের সঙ্গে ছিলেন ওই ব্যবসায়ী। কিন্তু দোকান (Shop) থেকে পান কিনে বেরোতেই তাঁকে অপহরণ করে পাঁচজন। তারপরে এলগিন রোডের হোটেল (Hotel) থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই ব্যবসায়ী হাওড়ার বাসিন্দা (Howrah)। তাঁর নাম এসএল বৈদ। তিনি স্বর্ণ ব্যবসায়ী। সোমবার নিজের ছেলের সঙ্গে দেখা করতে রবীন্দ্র সদনের লি রোডে (Lee Road) যান। তারপর তিনি যখন একটি পানের দোকানে যান তখন একটি গাড়ি দাঁড়ায় সেখানে। আর পাঁচজন গাড়ি থেকে নেমে ওই ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে যায়। তারপর ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন যায়।

আরও পড়ুন- রাতের অন্ধকারে পোড়ানো হল বিজেপির পোস্টার-ব্যানার, উত্তেজনা পুরুলিয়ায়

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবারই ভবানীপুরের (Bhowanipore) ওই হোটেলে ঢোকেন দুই ব্যক্তি। মৃত ব্যক্তিকে তাঁর কাকা বলে পরিচয় দেন অপর একজন। তার কিছুক্ষণের মধ্যেও ওই ব্যক্তি হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যান। হোটেলে ছিলেন একা এসএল বৈদ। বৈদের পরিবারের দাবি, সন্ধ্যায় কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন যায় বাড়িতে। তার পর তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Poice)। এই সূ্ত্রেই তাঁরা পৌছন ভবানীপুরে ওই হোটেলে। সেখানেই উদ্ধার হয় বৈদের মৃতদেহ (Dead Body)। গলায় টেলিফোন তার প্যাঁচানো ছিল।

আরও পড়ুন-Babul Supriyo: সিদ্ধান্ত বদল বাবুলের, ১৪ বছর পর ধামাকাদার কামব্যাক থেকে হঠাৎই কেন সরে দাঁড়ালেন

পরিবার সূত্রে খবর, এই মুক্তিপণের ফোন আসতেই বিষয়টি নিয়ে ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা ব্যবসায়ীকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। ওই ব্যবসায়ীর ফোনের লোকেশন, সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করেন। সোমবার সারারাত খোঁজ চলে। মঙ্গলবার সকালে খবর আসে, এলগিন রোডের একটি হোটেল থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই ব্যবসায়ীর দেহ।

আরও পড়ুন-Babul Supriyo: ১৪ বছর পর 'চারু' দেবচন্দ্রিমার সঙ্গে প্রেম করবেন 'বাবুল সুপ্রিয়', কার নির্দেশ জানেন

তাহলে কি মুক্তিপণ আদায়ের জন্যই অপহরণ করা হয়েছিল লি রোডের ওই স্বর্ণব্যবসায়ীকে? কিন্তু তাই যদি হবে, তাহলে বাড়িতে ফোন করে কোটি টাকা চাওয়া হল কেন? অপহৃতের কিছু হয়ে গেলে মুক্তিপণ আদায়ের কী হবে? ঘটনা ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। লালবাজারের হোমিসাইড শাখা মামলার তদন্ত শুরু করে দিয়েছেন। সারারাত শহরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালান তাঁরা। কিন্তু এখনও অধরা অভিযুক্ত।

তবে পুলিশের অনুমান দিল্লির এক যুবকের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল শান্তিলালের। ওই যুবক মৃত ব্যবসায়ীকে নিজের কাকা বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। সোমবারই ওই যুবক দিল্লি থেকে কলকাতায় আসেন। সূত্রের খবর মোটা টাকা চেয়ে ওই ব্যবসায়ীকে ব্ল্যাকমেল করছিল দিল্লির যুবক। সন্ধেবেলায় ওই যুবক বেরিয়ে গেলেও শান্তিলাল ঘরেই ছিলেন। পরে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। গেস্ট হাউসের কর্মীদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, সোমবার ওই যুবকের সঙ্গেই গেস্ট হাউসে ঘর নেন শান্তিলাল। আর সেই ঘরের টেলিফোনের তার গলায় পেঁচিয়ে তাঁকে খুন করা হয় বলে প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের। 

Share this article
click me!