আপাতত স্বস্তিতে পোল্যান্ডের ছাত্র কামিল সেদচিন্সকি। যাদবপুর থেকে তার কোর্স শেষ করার জন্য এদেশে থাকতে পারবে কিনা জানা তা যাবে আগামী ১৮ মার্চ৷ ওইদিন কামিলের মামলার রায় শোনাবে কলকাতা হাইকোর্ট। ততদিন পর্যন্ত বিদেশি ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে না বলে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।
রাতে খোলা সরকারি অফিস, বেআইনি কাজের অভিযোগ কেশপুরে
বিচারপতি ভট্টাচার্যর এজলাসে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, কামিল ছাত্র হিসেবে মেধাবী এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। তার মানে ভারতের সার্বভৌমত্বের ওপর প্রশ্ন তুলবে তা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। কামিল এ দেশের নাগরিক নয়। তাই বাক স্বাধীনতার অধিকারিও সে নয়৷ তাই সরকার বিরোধী সভায় অংশ নিয়ে সে নিয়ম লঙ্ঘন করেছে।
বানান ভুলেও কাটবে না নম্বর, নতুন নিয়ম চালু মধ্যশিক্ষা পর্ষদের
সংবিধানের ১৯ নম্বর ধারা শুধুমাত্র এ দেশের নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য। ভিসা আইনের ১৪সি অনুযায়ী বিদেশিরা সরকার-বিরোধী কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারে না। এমনকী লোকসভায় কোনও আইন পাশ হলে এর বিরোধিতাও করতে পারেন না কোনও বিদেশি। অথচ কামিল বিদেশি হয়েও সরকার-বিরোধী মিছিলে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু কামিলের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র বলেন, পৃথিবীর বৃহত্তম সংবিধান হল ভারতের সংবিধান।
৭ মাসে কী দেখেছেন, রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অমিত শাহকে জানাবেন রাজ্য়পাল
সেখানে কোনও বৈষম্য নেই। মৌলিক অধিকারের ১৪, ২০,২১,২২ সব ধারা প্রযোজ্য যিনি এদেশের নাগরিক নন তাদের জন্যও। কামিল সভায় অংশ নিয়ে কোনও বৈপ্লবিক মানসিকতা দেখায়নি। তখন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন, ১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে ফরেনার্স অ্যাক্ট তৈরি হয়েছিল। সেটা কি আদৌ এই যুগে প্রযোজ্য? জয়ন্ত মিত্র বলেন, সময়ের সঙ্গে আইনের বদল হয়। সমাজকে দেখেই আইন তৈরি হয়৷ তাই সময়ের সাথে সাথে এই আইনেরও বদল দরকার।