রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলিতে ফি মকুবের নির্দেশ, অভিভাবকদের স্বস্তি দিল হাইকোর্ট

Published : Oct 13, 2020, 10:02 PM IST
রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলিতে ফি মকুবের নির্দেশ, অভিভাবকদের স্বস্তি দিল হাইকোর্ট

সংক্ষিপ্ত

করোনা আবহে স্বস্তি পেলেন অভিভাবক বেসরকারি স্কুলগুলিকে ফি মকুবের নির্দেশ হাইকোর্টের টিউশন ফি ছাড়া আর কোনও ফি নেওয়া যাবে না তিন সদস্য়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ  

রুজি পাঁজা: করোনা আতঙ্ক, দীর্ঘ লকডাউনে কারণে দুর্ভোগের শেষ নেই। অবশেষে স্বস্তি পেলেন অভিভাবকরা। রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলিতে ২০ শতাংশ ফি কমানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আপাতত টিউশন ফি ছাড়া আর আর কোনও ফি নেওয়া যাবে না।

আরও পড়ুন: কোন পথে এগোচ্ছে তদন্ত, মণীশ শুক্লা খুনে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

লকাউনের ধাক্কা বেসামাল অর্থনীতি। কেউ কাজ হারিয়েছেন, তো কেউ আবার অর্ধেক বেতন পাচ্ছেন। যাঁদের সন্তানরা বেসরকারি স্কুলে পড়ে, ফি দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকরা। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে ফি কমানোর আবেদন জানিয়েছিলেন অনেকেই। এমনকী, ফি কমানোর অনুরোধ করেছিল রাজ্য সরকারও। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি বিশেষ। তাহলে উপায়? নিরুপায় হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন অভিভাবকদের একাংশ। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই মিলল স্বস্তি।

আরও পড়ুন: স্মরণ করালেন জালিওয়ানাবাগ হত্যাকাণ্ড, বলবিন্দার সিং ইস্যুতে ফের টুইট রাজ্যপালের

কীভাবে এই ২০ শতাংশ ফি কমানোর সিদ্ধান্তে পৌঁছল আদালত? মামলা দায়ের হওয়ার পর বেসরকারি স্কুলের আয়-ব্যয় খতিয়ে দেখার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু তাতেও সমস্যার সুরাহার না হওয়ায় শেষপর্যন্ত স্কুলগুলির কাছে প্রস্তাব চেয়ে পাঠানো হয়। সেই প্রস্তাবগুলি খতিয়ে দেখার পর তিনটি প্রস্তাব বেছে নেয় আদালত। তারপর একটি প্রস্তাব চূড়ান্ত করে রায় ঘোষণা করল বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু যদি ২০ শতাংশ মকুব করার পরেও যদি কোনও কেউ সমস্যায় পড়েন? তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠনে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই কমিটির কাছে আবেদন করতে পারবেন অভিভাবকরা। সবদিক খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন কমিটির সদস্যরা।

PREV
click me!

Recommended Stories

'ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানাবোই, এটা বাবরের দেশ নয়', কলকাতায় এসে হুঙ্কার ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী
Gita Path : 'মুখ্যমন্ত্রী না এসে প্রমাণ করলেন প্রকৃত হিন্দু নন' তোপ শুভেন্দু অধিকারীর