সারদা চিটফান্ড তদন্তে নতুন তথ্য়। আয়কর বিভাগের বিশেষ স্কিমে ২৬০ কোটি টাকা নগদ জমা দিয়েছিলেন এক জনপ্রতিনিধি। যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে সিবিআইয়ের অন্দরে। ইতিমধ্যেই ওই জনপ্রতিনিধির টাকার তল পেতে আয়কর দফতরের কাছে নতি চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর,সারদার টাকা আয়কর দফতরের বিশেষ স্কিমে জমা দিয়েছেন ওই জন প্রতিনিধি।
কেন্দ্রের হাতে তথ্য নেই কেন, মোদী সরকারকে টুইট খোঁচা মমতার
জানা গিয়েছে,ওই নগদে ২৬০ কোটি টাকা জমার ভিত্তিতেই সারদাকাণ্ডে আয়কর দফতরকে চিঠি দিয়েছে সিবিআই। চাওয়া হয়েছে ওই জনপ্রতিনিধির জমার হিসেব। সূত্র বলছে, বিশেষ স্কিমে টাকা জমা দেওয়ার পর ওই জনপ্রতিনিধির আয়কর জরিমানা হয় ১০৪ কোটি টাকা।কদিন আগেই রোজ ভ্যালি তদন্ত নিয়ে সংঘাতে জড়ায় দুই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সিবিআই-এর অভিযোগ, বার বার বলা সত্ত্বেও চিটফান্ড তদন্তে বেশকিছু ফাইল দিচ্ছে না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। যার ফলে তদন্ত গতি পাচ্ছে না বলে দাবি করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
ট্রেনে উঠলেই মহিলাদের দেওয়া হবে নম্বর, যাত্রী সুরক্ষায় 'সহেলি' আনল রেল
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৮ সালে। সিবিআইয়ের দাবি সেই সময় ইডি-কে রোজভ্য়ালি নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তাঁরা। তারপর থেকে বেশকিছু তথ্য় জানার জন্য ৫বার চিঠি ও নোটিশ পাঠানো হয়েছে ইডি কর্তাদের কাছে। প্রথমের দিকে রোজ ভ্যালির তদন্তে ছিলেন ইডি-র আধিকারিক মনোজ কুমার। পরবর্তীকালে যাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এই ঘটনা অনেক কিছু প্রশ্ন তুলে দেয়।
সংসার চালাতে ৫৩ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন রাজ্যপাল, সাফ 'না' শোনাল নবান্ন.
এদিকে সারদাকাণ্ডের তদন্তে এবার আয়কর দফতরকে চিঠি দিল সিবিআই। চিটফান্ড দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই-এর নজরে এক প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি। তাঁর ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছে সিবিআই। সেই প্রসঙ্গেই এবার আয়কর দফতরকে চিঠি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার।
সূত্রের খবর, ২০১৪-১৫ সালে আয়কর দফতর একটি স্কিমের ঘোষণা করে। যেখানে আয়কর ছাড়ের সুযোগ দেওয়া হয়। সেইসময় ওই প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি নগদে ২৬০ কোটি টাকা জমা দেন। ওই জনপ্রতিনিধির আয়কর জরিমানা হয় ১০৪ কোটি টাকা। সিবিআইয়ের ধারণা ওই জমা টাকার মধ্য়ে ছিল সারদার টাকাও।