হাঁসখালিকাণ্ডে দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট হাইকোর্টকে জমা দেবে সিবিআই। জানা গিয়েছে, ২০ জনের বেশি সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা ওই স্ট্যাটাসে জানিয়েছে সিবিআই।
হাঁসখালিকাণ্ডে দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট হাইকোর্টকে জমা দেবে সিবিআই। জানা গিয়েছে, ২০ জনের বেশি সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা ওই স্ট্যাটাসে জানিয়েছে সিবিআই। মুখবন্ধ খামে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে স্ট্যাটাস জমা দেবে সিবিআই। নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূল নেতার ছেলেকে। গ্রেফতার করা হয়েছিল আরও কয়েকজন ছেলেকেও। নাবালক সহ আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁদের বিরুদ্ধে মূতের পরিবারকে হুমকি এবং তদন্ত ভূল পথে চালিত করার অভিযোগ রয়েছে।
হাঁসখালিকাণ্ডে বিজেপি একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছিল। সেই কমিটির এক সদস্যের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার আবেদন জমা পড়েছে। অভিযোগ বিজেপি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি টিমের একজন নাবালিকার পরিচয় প্রকাশ্যে এনছিল বলে অভিযোগ। তাই তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ। প্রসঙ্গত, ৪ এপ্রিল রাতে জন্মদিনের পার্টিতে ডাকা হয়েছিল ওই নাবালিকাকে। এরপর জন্মদিনে ডেকে তাকে মদ্যপান করায় ব্রজগোপাল। এরপরেই সে এবং তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করে। যৌন নির্যাতন এতটাই হয়েছিল যে, নির্যাতিতার গোপনাঙ্গ থেকে ব্যাপক রক্তপাত ঘটে। রক্তে ভিজে যায় অন্তর্বাস। রাতে এক মহিলাকে দিয়ে নাবালিকা প্রেমিকাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় সে। অভিযোগ এরপরেই অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে ওই নাবালিকা। এদিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেয় ব্রজগোপাল। এরপরেই অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার।এদিকে নৃশংসঘটনা এখানেই শেষ হয়নি। অপরাধ ঢাকতে দেহ সৎকারে বাধ্য করে বজ্রগোপাল। তাই মাঝে কয়েকদিন কেউ কিছু জানতে পারেনি। তবে ইতিমধ্য়েই হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডের অভিযুক্তদের সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক।
আরও পড়ুন, 'শিয়ালদহ মেট্রো উদ্ধোধন করুক মোদীই, কেন্দ্রের ফরমান জারি হতেই কড়া বার্তা বাবুলের
পরিবাররে তরফে নতুন কিছু তথ্য সামনে আনা হয়েছে। মৃতার বাবার অভিযোগ, তাঁর বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে মেয়ের মৃতদেহ তুলে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃতার জ্যাঠতুতো দাদার অভিযোগ, হুমকি চলতে থাকার ভয়ে দেহটি মাদুরে জড়িয়ে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, তিনি এলাকায় বিজেপি কর্মী বলেই পরিচিত।তবে এই নতুন তথ্য সামনে উঠে আসার পর প্রশ্ন উঠেছে, এই তথ্য তাঁরা আগে কেন জানাননি। কেনই বা এতদিন অবধি সোহেলের বাবা, স্থানীয় তৃণমূল পঞায়েত সদস্য, 'সমরেন্দু গয়ালি বা আরও কারও নামে হুমকি দেওয়া বা ভয় দেখানোর লিখিত অভিযোগ জানানো হয়নি। মৃতার জ্যাঠতুতো দাদা বলেন, এতদিন খুব ভয়ে ছিলাম আমরা, সিবিআই তদন্ত করছে, জেনে সাহস পেলাম।'
আরও পড়ুন, ডুমুরের ফুল বিজেপির অধিকাংশ বুথ সভাপতি, নাড্ডা সফরের আগে চাপে সুকান্ত-শুভেন্দুরা