সংক্ষিপ্ত

শাহ-সফরের পরেই বাংলায় আসতে চলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। উল্লেখ্য, গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত নিচুতলার সংগঠনের বেহাল অবস্থার যে রিপোর্ট শেষ মুহূর্তে এসেছিল তাতে নাড্ডার সফরের আগে প্রবল চাপের মুখে সুকান্ত-শুভেন্দু অমিতাভরা।

শাহ-সফরের পরেই বাংলায় আসতে চলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। উল্লেখ্য, গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত নিচুতলার সংগঠনের বেহাল অবস্থার যে রিপোর্ট শেষ মুহূর্তে এসেছিল তাতে নাড্ডার সফরের আগে প্রবল চাপের মুখে সুকান্ত-শুভেন্দু অমিতাভরা। কারণ ৮ জুন থেকে দুই দিনের সফরে বুথভিত্তিক রিপোর্ট নেবেন নাড্ডা। এধিকে ইতিমধ্যেই রাজ্যের তৈরি অধিকাংশ বুথ সভাপতিরাই অদৃশ্য। মূলত গেরুয়া শিবিরেরর ডামাডোল পরিস্থিতির উদ্ধারে বঙ্গবিজেপির রাজ্য কর্মসিমিতির বৈঠকে আসতে চলেছেন জেপি নাড্ডা। দলের একের পর নির্বাচন, উপনির্বাচনে হেরে জটিল পরিস্থিতি বঙ্গ বিজেপিতে। তার উপর শুরু হয়েছে ইস্তফার লাইন। অন্দরের বিতর্ক বাইরে বেরিয়ে আসছে। টুইটে একে অপরের বিরুদ্ধে কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি করছেন অনেকেই। তবে এহেন পরিস্থিতির মাঝেই রাজ্য সফরে আসছে জেপি নাড্ডা।

কলকাতায়  বঙ্গবিজেপির রাজ্য কর্মসিমিতির বৈঠক হবে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ আসবেন। ওই দুই শীর্ষ নেতার কাছে সময় চেয়েছে রাজ্য বিজেপি নের্তৃত্ব। তাঁদের সময় মতই রাজ্যকমিটির বৈঠকের দিন ঠিক করা হবে। এদিকে বঙ্গ বিজেপিতে পুরোনো-নতুন দ্বন্দ্বে জর্জরিত দল।পুরোনো নেতা-কর্মীদের বড় অংশ বসে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গবিজেপির রাজ্য কর্মসিমিতির বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই দলের হাল ফেরাতে আসছেন নাড্ডা বলেই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। দলের বিদ্রোহ থামাতে কী পদক্ষেপ নেন নাড্ডা , সেই দিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।

আরও পড়ুন, 'চাকরি নেই, একথা কখনও বলেননি শোভনদেব', এসএসসি দুর্নীতির মাঝে কী যুক্তি ফিরহাদের

অপরদিকে, কিছুদিন আগেই রাজ্য সফরে এসেছিলেন অমিত শাহ। দুই দিনের রাজ্যের সফরের প্রথমদিনেই তিনি উত্তরবঙ্গে যান। গতসপ্তাহে শুক্রবার তিনি কলকাতায় ফেরেন। তবে সফর সূচি বদলে দেন। কারণ এরই মাঝে আসে কাশীপুরের বিজেপি নেতার রহস্য মৃত্যু, দেহ উদ্ধারের ঘটনা। যা নিয়ে কম জল গড়ায়নি। প্রসঙ্গত, নির্বাচনের ফলের আগের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আটকে থাকা ভারতীয়দের ইস্যুতে অমিত শাহকে তোপ দেগেছিলেন মমতা। ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাহ বলেছিলেন,  ' ৫ রাজ্যের নির্বাচনের মাঝেই এই যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় সরকারের কাজের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে নির্বাচনের ফলেও।' স্বাভাবিকভাবে সেই কথা মিলেও গিয়েছে। একাধিক রাজ্যেই বড়সড় সংখ্যায় আসন জিতে বসে রয়েছে বিজেপি। সেখানে কংগ্রেস, সদ্য অংশ নেওয়া তৃণমূল প্রায় নিশ্চিহ্ন। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে কিছুতেই আসন বাড়ছে না বিজেপি। একের পর এক নির্বাচন, উপনির্বাচনে হেরে জটিল পরিস্থিতি বঙ্গ বিজেপিতে। এহেন  জটিল পরিস্থিতিতে অমিত শাহ-র পর এবার নাড্ডা-র রাজ্যে আসা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

আরও পড়ুন, কেকে-ইস্যুতে ধর্ষণের হুমকির শিকার রূপঙ্করের পরিবার, ভাইরাল পোস্টের চরম নিন্দা নেটিজেনদের

আরও পড়ুন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিচারিকার সঙ্গে সহবাস, লাগাতার ধর্ষণের পর গর্ভপাত, কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা