সাতদিন কেটে গেলেও কলকাতার বুকে একাধিক জায়গায় স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ পরিষেবা। কলকাতা, হাওড়ার অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরলেও অস্থায়ী সংযোগের ফলে ফ্রিজ, এসি না চালাতে বলেছে কর্তৃপক্ষ। যার ফলে কবে ঘরে বিদ্যুৎ এলেও সমস্যা কমেনি মহানগরবাসীর।
আমফান যেতেই ফের বৃষ্টির ভ্রুকুটি দুই বঙ্গে, কলকাতায় কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস.
কলকাতা ও মহানগর সংলগ্ন একাধিক এলাকাায় অনেক ওয়ার্ডে এখনও বিদ্যুৎ নেই। বেহালার শীল পাড়া, পর্ণশ্রী, সখেরবাজার, সরশুনা, ঠাকুরপুকুরের মতো জায়গার বিভিন্ন অংশে ঝড়ের বিকেল থেকে বিদ্যুৎ নেই। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এখানকার বহু জায়গায় এখনও দেখা যায়নি সিইএসসির টিমকে। বাইপাসের একাধিক জায়গা থেকেও এসেছে একই অভিযোগ।
বিদ্যুৎ পেলেও লাইট, পাখা চালিয়েই কোনক্রমে দিন কাটাতে হচ্ছে পাইকপাড়া, শ্যামবাজার, টালা পার্ক, কাশীপুরের মতো এলাকার বাসিন্দাদের। অস্থায়ী সংযোগ পাওয়ায় আপাতত এসি, বা ফ্রিজ চালাতে না করা হয়েছে তাদের। বহু আবাসনে মোটর চালিয়ে জল তোলার উপায় নেই। সেকারণে বিদ্যুৎ এলেও জলকষ্ট কমেনি কলকাতার।
৫০০ জনকে নিয়ে বাড়ির ছাদে ইদ্রিস আলির ইদের নামাজ, কোথায় করোনা, কোথায় লকডাউন
এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি হাওড়া কর্পোরেশনের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে। সেখানকার বাসিন্দারা এখনও বিদ্যুতের মুখ দেখেননি। তবে যেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে সেখানেও সিইএসসির কর্মীরা পাম্প, এসি, ওয়াশিং মেশিনের মতো জিনিস চালাতে বারণ করে গিয়েছেন মৌখিক ভাবে। এলাকার বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, পুরসভা যে জল সরবরাহ করেছে তা দুর্গন্ধময়। খাওয়া তো দূর তা দিয়ে জামা, কাপড় ধুলেও গন্ধ থাকছে।
একদিনে বাংলায় করোনা আক্রান্ত ১৪৯, যার মধ্য়ে ৩৪ জনই মালদহের.
পরিস্থিতি বলছে, দুই চব্বিশ পরগনার শহর-মফস্বলেও একই অবস্থা। পাণিহাটি, আড়িয়াদহ, ব্যারাকপুর, পলতার বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ নেই। বারুইপুর, রাজাপুর-সোনার পুরসভার অনেক এলাকা এখনও বিদ্যুৎহীন। হুগলির ডানকুনি, রিষড়ার গ্রামাঞ্চলে ঝড়ের সময় সেই যে গিয়েছে আর আসেনি বলে জানা গিয়েছে। বহু জায়গায় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন এলাকার মানুষ।