'গঙ্গায় দেহ ফেলে কোভিড রেকর্ড মুছে দেয় ওরা', কোভিড ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ মমতার। বৃহস্পতিবার এদিন মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের ক্রেডিট কার্ড এবং ভ্য়াকসিনেশন নিয়েই কথা বলতে গিয়ে নবান্নে সাংবাদিকের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
'প্রতিবাদ করলেই সবাইকেই সন্ত্রাসবাদী বলে-আফগানিস্থান দেখায় BJP'
আরও পড়ুন, 'সবটাই BJP-তৃণমূলের খেলা', 'রাজ্যপাল' ও 'চীনা আগ্রাসন' ইস্যুতে অধীরের নিশানায় মোদী-মমতা
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে আচমকাই রেগে যান মুখ্যমন্ত্রী । বলেন,' আমি জানতেই চাই না বিজেপি কি বলেছে। তবে এখানেই শেষ হয়নি, এদিন মমতা আরও বলেছেন, 'প্রতিবাদ করলেই সবাইকেই সন্ত্রাসবাদী বলে, আফগানিস্থান দেখায় বিজেপি। শুধু ওরা ন্যাশনাল, বাকি সবাই কি অ্যান্টি ন্যাশনাল', ক্ষোভ উগরে এদিন পাল্টা প্রশ্ন ছোড়েন মমতা। একটু ভ্য়াকসিনও ওরা দিতে পারে না বাংলাকে।কোভিড প্রসঙ্গে চটে গিয়ে তিনি এদিন বলেন, 'গঙ্গায় দেহ ফেলে কোভিড রেকর্ড মুছে দেয় ওরা'।
'গঙ্গায় কোভিড দেহ'
প্রসঙ্গত মে মাসে উত্তরপ্রদেশ-বিহার-ঝাড়খন্ডের মাঝে বয়ে চলা গঙ্গায় ভেসে থাকতে দেখা যায় কোভিড দেহ। সূত্রের খবর, সেই দেহগুলি অর্ধেক পুড়িয়েই নদীতে ফেলে দেওয়ায় তা ভাসতে ভাসতে পশ্চিমবঙ্গের দিকে আসার আশঙ্কা থাকতে পারে। এরপর মালদা জেলার প্রশাসককে এবিষয়ে সতর্কও করা হয়। কারণ আরও এক সম্ভবনা দেখা যায় যে, কোভিড দেহ থেকে জলের মাধ্যমেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে। বলতে না বলতে রাজ্যের গঙ্গায় দেহ ভাসতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন, 'ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘর ছেড়েছে BJP কর্মীরা', দার্জিলিংয়ে রাজ্য়পালের সাক্ষাত জন বার্লার
কেন্দ্রীয় দল, একুশের ভোটের প্রচারের অন্যতম অস্ত্র কোভিড ইস্যু
উল্লেখ্য, বিষয়টা শুধু এখানেই শুরু হয়নি। রাজ্যের একুশের ভোটের প্রচারের অন্যতম অস্ত্রও ছিল এই কোভিড ইস্যু। কর্ম সংস্থান, পানীয় জল, খাদ্যের থেকেও মাথা চাড়া দিয়ে দাঁড়িয়েছিল করোনা সংক্রমণ। কারণ বাঁচলে তবে তো কর্ম সংস্থান বা ক্ষুধা নিবারণের চিন্তা আসবে। তাই কোভিড ইস্যু ক্রমশ গুরুত্ব পায়। এমনকি পশ্চিমবঙ্গে রেড জোন এবং গ্রীণ নিয়েও প্রশ্ন তোলে কেন্দ্র। অর্থাৎ যে স্থানে সংক্রমণ কম দেখানো হচ্ছে, আদৌ তাঁর কতটা সত্যতা আছে। তা যাচাই করতে রাতারাতি চলে রাজ্য সফরের কেন্দ্রীয় দল। তবে আইসিএমআর-র বিধি মেনে চলা হচ্ছে কতটা,এনিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কেন্দ্রীয় দলকে রাজ্যে এসে বাধার মুখে পড়তে পরতে হয়। তবে শেষ অবধি গ্রীণ জনের সিলমোহর পাওয়া রায়গঞ্জে গিয়ে তথ্য খতিয়ে দেখতে শেষ অবধি ছাড়েনি কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা।
' কত ভ্যাকসিন এসেছে, হিসাব দেওয়া হচ্ছে না'-দিলীপ
কোভিড চিকিৎসার কিট, ভ্যাকসিনের যাবতীয় পরিসংখ্যান সব দিন চেয়ে এসেছে কেন্দ্র। বিরোধীরা এনিয়ে হামেশাই নিশানা করে শাসকদলকে। তারপর আবার সদ্য ঘটে যাওয়া কসবাকাণ্ডের পর আরও উসকে যায় কোভিড রাজনীতি। এদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে কসবাকাণ্ডে এদিন দিলীপ ঘোষ তৃণমূলকে তোপ দেগে বলেছেন, 'এখন ভ্যাকসিন নিয়ে সিন্ডিকেট চলছে। নেতা, এমএলএ, এমপি সবাই জড়িত। একটা কালোবাজারি চলছে। সবাই জানলেও চুপ করে আছে। ভ্যাক্সিন নিয়ে অকারণ কেন্দ্রের দোষ দেওয়া হচ্ছে। অথচ কত ভ্যাকসিন এসেছে, তার হিসাব দেওয়া হচ্ছে না।' তাই সব দিকই সেই রেকর্ড নিয়ে বাকযুদ্ধ। আর এদিন বিজেপিকে পাল্টা জবাব দিলেন মমতাও।
আরও পড়ুন, নন্দীগ্রাম মামলায় এজলাস বদলের আর্জি, শুনানির পর স্থগিত রায়দান
PAC-র চেয়ারম্যান, 'মুকুলকে পুরো সাপোর্ট করবো'-মমতা
অপরদিকে, এই মুহূর্তে PAC-র চেয়ারম্যান ইস্যু নিয়েও সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। বিজেপিতে থাকাকালীন এতদিন মুকুল রায় এবং অশোক লাহিড়ীর মধ্যে কে হবে PAC-র চেয়ারম্যান, এনিয়ে চাপানউতোর চলছিল। বিজেপি একপক্ষ ছিল অশোক লাহিড়ীর দিকে, অন্যপক্ষ বলছিল মুকুল রায়কে দলে রাখতেই PAC-র চেয়ারম্যান করা হবে তাঁকে। এদিকে এতদিনে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। ছেলে সহ মুকুল রায় তৃণমূলে আসতেই এখন বিজেপিতে PAC-র চেয়ারম্যানের অঘোষিত একটা মুখ -অশোক লাহিড়ী। কিন্তু বিজেপি বিধায়ক পদে এখনও রয়েছেন মুকুল রায়। আর এখানেই জমেছে ধোঁয়াশা। এদিন নবান্নে মমতা সাফ জানিয়েছেন, 'মুকুলকে পুরো সাপোর্ট করবো।' ইতিমধ্য়েই মননয়ন জমা দিয়েছেন মুকুল। জল শুধু এবার কোন দিকে গড়ায় , তা সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস