হায়দরাবাদ এনকাউন্টারকে যখন স্বাগত জানাচ্ছেন রাজ্যের মানুষ, তখন উল্টো সুর খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গলায়। তাঁর মন্তব্য, আইন হাতে তুলে নিয়ে নয়, বরং আইনি প্রক্রিয়া মেনেই ধর্ষক সাজা দেওয়া উচিত। শুক্রবার ধর্মতলায় সংহতি দিবসে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ধর্ষণ রুখতে আইনকে আরও কঠোর করার দাবি তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
নির্ভয়া কাণ্ডে দোষীদের এখনও সাজা পায়নি। দিশা কিন্তু ন্যায় বিচার পেলেন। হায়দরাবাদ কাউন্টারের পর তেমনটাই মত রাজ্যের সিংহভাগ মানুষেরই। পুলিশের ভূমিকার ভুয়সী প্রশংসা করছেন সকলেই। শুক্রবার ধর্মতলায় সংহতি দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এ রাজ্যে ৮৫টি ফার্স্টট্র্যাক কোর্ট রয়েছে। বিচার ব্যবস্থার আরও গতি আনতে হবে। দ্রুত চার্জশিট পেশ আদালতে দোষীদের বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক নয়। আইনি প্রক্রিয়া মেনে আদালতেই দোষীদের সাজা হওয়া উচিত। হায়দরাবাদ ও উন্নাওয়ের ঘটনা নিয়ে দুঃখপ্রকাশও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, উন্নাওয়ের মেয়েটি কেন সুরক্ষা পেল না?
আরও পড়ুন: 'বেশ হয়েছে', হায়দরাবাদ এনকাউন্টারে এভাবেই সোচ্চার কলকাতার তরুণ-তরুণী-রা
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মালদহে ইংরেজবাজার এলাকায় এক যুবতীর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ওই যুবতীকেও ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তবে মৃতার পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোতুয়ালি পঞ্চায়েতে টিপাজনি গ্রামে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মৃতার বয়স মেরেকুটে ২০ থেকে ২২ বছর। তাঁর দেহে ৮০ শতাংশই পুড়ে দিয়েছে। গোপনাঙ্গেও আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। নিয়মাফিক মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে এলাকার একটি আমবাগানে মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখেন বলে জানা গিয়েছে। হায়দরাবাদের মতো মালদহে যুবতীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় কি কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে পুলিশ? ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।