শহরের বহুতল থেকে জ্বলন্ত অবস্থায় রাস্তায় নেমে আসলেন দম্পতি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই দম্পতিকে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে ইকোপার্ক থানার পুলিশ।
শহরের বহুতল থেকে জ্বলন্ত অবস্থায় রাস্তায় নেমে আসলেন দম্পতি (Burnt Couple)। না কোনও ফিল্মের সেট নয়, নাইবা ঝুঁকিপূর্ণ সার্কাসের খেলা। বুধবার এহেন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে শহরের নিউটাউনের একটি বহুতলে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই দম্পতিকে কলকাতার হাসপাতালে (RG Kar Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে ইকোপার্ক থানার পুলিশ (Ecopark Police)।
ঘড়ির কাটায় বিকেল পাঁচটা। বুধবার তখনও মানুষের মুখে কোভিড নিয়ে বেশিরভাগ আলোচনা। তার উপর লকডাউন নিয়ে একটু বাড়তি সতর্কতা। তবে তখনও কেউ ভাবেনি এহেন নিস্তব্ধ উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মাঝেই বহুতল বেয়ে কেউ জ্বলন্ত অবস্থায় নিচে নেমে আসবে। কার্যতই এহেন ঘটনায় কিছুটা হকচকিয়ে গিয়েছে ্স্থানীয় বাসিন্দারা। নিউটাউন ঘূণি এলাকায় একটি বহুতলের তিন তলায় গত চার বছর ধরে ভাড়া থাকতেন স্বামী গোলাম মোর্তজা ও স্ত্রী শাকিলা সুলতানা।স্থানীয়রা হঠাৎ দেখতে পায় জ্বলন্ত অবস্থায় দুজন ছুটে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে। প্রথমে হতভম্ব হয়ে পড়ে স্থানীয়রা। তড়িঘড়ি সেই আগুন নিভিয়ে স্বামী গোলাম মোর্তজা এবং স্ত্রী শাকিলা সুলতানাকে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই মুহূর্তে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানে দুজনের চিকিৎসা চলছে। তবে, কী থেকে আগুন ছড়িয়েছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। বাসিন্দাদের দাবি, স্ত্রী রান্না করছিল সেই সময় কোনওভাবে আগুন লেগে যায়। স্বামী বাঁচাতে গেলে, তাঁরও আগুন লাগে। এর পর দুজন ছুটে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে ইকোপার্ক থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন, Bidhannagar Municipal Election 2022: দোরগড়ায় পুরভোট, রইল বিধাননগর পুরসভার সাতকাহন
প্রসঙ্গত, নিউইয়ারে পা দিয়েই কলকাতা এরই মধ্যে একাধিক অগ্নিকাণ্ড দেখল। বছরের শুরুতেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটনা ঘটে কৈখালির রঙের কারখানায়। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। তবে আগুনের তীব্রতা বেশি ছিল থাকায় মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে লেলিহান শিখা। ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় এনডিআরএফের সদস্যরাও। সেই আগুনে একজন প্রাণও হারিয়েছেন বলে নিশ্চিত করে দমকল আধিকারিকরা। রঙের কারখানায় অনেক দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার ফলে আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এমনকী রঙের কারখানা থেকে ওই আগুন আশপাশের কারখানাতেও ছড়িয়ে পড়ে বলে দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা। অনেক চেষ্টার পরও আগুন নেভানো সম্ভব হচ্ছিল না। কারণ যেহেতু কেমিক্যালের কারখানা তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে দমকলের বেশ সমস্যা হচ্ছিল। মর্মান্তিক ওই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। রাজারহাট-গোপালপুরের বিধায়ক অদিতি মুন্সিও সেখানে যান। চার ঘন্টা পর অবশেষে ৭২ টি দমকলের ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। উল্লেখ্য, যদি এই মুহূর্তে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী কোভিডে আক্রান্ত। তাই আইসোলেশনে রয়েছেন। তবে বুধবারের এই ঘটনা ফের শহরবাসীর মনে ছাপ ফেলল।