খাবার দিতে রাজি কিন্তু গাড়িতে তুলতে নয়, দেড় ঘণ্টা হেঁটে এসেও শিশুর চিকিৎসা পেলেন না বাবা-মা

  •  খাবারের প্যাকেট দিতে দিতে এগিয়ে চলেছে কলকাতা পুলিশের একটি লরি 
  •  পাশে দাঁড়ানো শিশুর মা বললেন, ' একটু এগিয়ে দেবেন, সকাল থেকে হাঁটছি 
  •  সিভিক ভলান্টিয়ার বলেন, 'খাবারটা নিয়ে নিন,  গাড়িতে কাউকে তোলা বারণ  
  • এরপর দেড় ঘণ্টা হাঁটার পরও ওই ছোট্ট শিশুর চিকিৎসা পেলেন না বাবা-মা 

Asianet News Bangla | Published : Apr 13, 2020 9:26 AM IST / Updated: Apr 13 2020, 03:03 PM IST

লকডাউনের জেরে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। নেই খাবার কেনার টাকাটুকু। এমন পরিস্থিতিতে খাবারের প্যাকেট দিতে দিতে চলেছে কলকাতা পুলিশের স্টিকার লাগানো একটি লরি। পিছনে ছুটছেন খাবারের আশায় থাকা অনেকে। তখনই প্যারাম্বুলেটরে চেপে বাবা-মায়ের সঙ্গে যাচ্ছিল একটি শিশু। সিভিক ভলান্টিয়ারকে দেখে শিশুটির মা বলেন, 'আমাদের একটু এগিয়ে দেবেন। বাচ্চাটাকা নিয়ে সকাল থেকে হাঁটছি।' উত্তরে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার বলেন, 'খাবারটা নিন। আমাদের গাড়িতে কাউকে তোলা বারণ। কিছু মনে করবেন না' এরপর লরিটি চলে যায়, তারপর দেড় ঘণ্টা হেঁটে এসেও শিশুর চিকিৎসা পেলেন না বাবা-মা।

আরও পড়ুন, সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্টের জেরে শ্রীঘরে ৯৬, লকডাউন লঙ্ঘনে গ্রেফতার ৬৩৮

লকডাউনে তো গাড়ি চলাচল বন্ধ। কিন্তু কেন বেরিয়েছিলেন প্রশ্নের উত্তরে  শিশুর মা বললেন, 'বাচ্চাটার খুব কাশি হয়েছে কয়েক দিন ধরে। কিছুই খাচ্ছে না। পাড়ার লোকজন আজই দেখিয়ে নিতে বললেন। বেলা বারোটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা হেঁটে এন আর এস হাসপাতালে এসেছিলাম। এখান থেকে বলা হল, শিশুরোগ বিভাগের কোনও চিকিৎসক আসেননি। অন্য হাসপাতালে যান।'শিশুটির বাবা বলেন, 'হাসপাতাল থেকে কাছেই এক আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলাম। ওঁরা বাড়ি নেই। বাচ্চাটাকে নিয়ে হাঁটতে সত্যিই কষ্ট হচ্ছে।' কিন্তু এরপরে তাদেরকে না নিয়েই চলে যায় ওই লরিটি। 


আরও পড়ুন, লকডাউনে যৌনকর্মী-রূপান্তরকামীদের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী, পৌঁছানো হল পর্যাপ্ত খাবার

অপরদিকে, এন আর এস হাসপাতালের অধ্যক্ষ শৈবাল মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, 'আউটডোর বন্ধ হলেও জরুরি বিভাগ খোলা সবার জন্য়ই। ঠিক কী হয়েছিল, খোঁজ নিয়ে দেখছি।' জানা গিয়েছে, প্যারাম্বুলেটরে বসা, ওই নয় মাসের শিশুটির নাম সায়ন পাহি। বাবা সনাতন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম লাগানোর ঠিকা শ্রমিকের কাজ করেন। কিন্তু লকডাউনের জেরে তিনি সেই কাজও হারিয়েছেন। শিশুটির মা নয়না গৃহবধূ। এপ্রিলের দাবদাহে অসুস্থ শিশুকে নিয়ে পুলিশের গাড়ি থেকে দেওয়া খাবার প্য়াকেট নিয়ে বিনা চিকিৎসায় শেষ অবধি ফিরতে শিশুটি মা-বাবাকে।





করোনার কোপে বন্ধ কলকাতার আস্ত একটি হাসপাতাল, ১০০ ছাড়িয়ে চিকিৎসক-নার্স সহ কোয়ারেন্টাইনে
 
পার্ক সার্কাসের বেসরকারি হাসপাতালে প্রৌঢ়ের মৃত্য়ু, করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই অভিযোগ তুলল পরিবার

করোনার রোগী সন্দেহে বৃদ্ধকে বেধড়ক মার, স্যালাইনের চ্যানেল করা হাতে দড়ি পড়ালো মানিকতলাবাসী

Share this article
click me!