ঘূর্ণিঝড় যশ (Cyclone Yaas)জেরে আশঙ্কা বাড়ছে উপকূলবর্তী এলাকায়। যশের ভয়ঙ্কর রুপ আরও বাড়িয়ে তুলেছে ভরা কোটাল। ইতিমধ্য়েই উত্তাল সমুদ্র। দিঘাতে যশের প্রভাবে সমুদ্রের জল গার্ডওয়াল পেরিয়ে রাস্তায় উঠে এসেছে। টানা বৃষ্টিতে বাড়তে পারে নদীর জলস্তর। যদিও ল্যান্ডফলের অনেক আগেই আমফানের থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার পুরোপুরি প্রস্তুত রাজ্য প্রশাসন।
আরও পড়ুন, 'যশ'-র জেরে বজ্রবিদ্যুৎ সহ প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস, তাপমাত্রা নামল ৫ ডিগ্রি নীচে
মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় যশ (Cyclone Yaas) উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ২০ ডিগ্রি ১ মিনিট উত্তর অক্ষাংংশ এবং ৮৭ ডিগ্রি ৮ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থান করছে।প্রবল শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় যশ (Cyclone Yaas)। কারণ একে সঙ্গে বুদ্ধপূর্ণিমা এবং তার উপর পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের জেরে যশের আরও শক্তি প্রদর্শনের সম্ভবনা রয়েছে। বুধবার বেলা ১২ টার মধ্যে যশ (Yaas) ল্য়ান্ডফলের সময় ঘূর্ণীঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ১৩০ থেকে ১৪০ কিমি। ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকায় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে,রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বুধবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হওয়ার প্রবল সম্ভবানা রয়েছে। উল্লেখ্য মঙ্গলবার রাত থেকেই কলকাতা সহ দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম জেলায় হাওয়া বইছে এবং বৃষ্টি বাড়ছে। যার জেরে নদীর জলস্তর বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আরও দেখুন, ভারতের ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়গুলির নাম জানলে অবাক হতে হয়, দেখুন পর পর ছবি
। অপরদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ ওড়িশা হলেও পুরোপুরি প্রস্তুত কলকাতা। ভোরেই গঙ্গাঘাট পরিদর্শন করেছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিষ কুমার। সকাল ৬ টার আগেই বাবুঘাটে পৌছে গিয়েছেন তিনি। রাতভর পুরসভাতেই ছিলেন দেবাশিষ কুমার। এদিন গঙ্গায় জলোচ্ছ্বাস কেমন, তা খতিয়ে দেখেন তিনি। লকগেটগুলি মঙ্গলবারেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় পুরোপুরি প্রস্তুত প্রশাসন।