বিপদ কাটল কলকাতায়। আগামী কয়েক ঘন্টায় অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Yaas)এর জেরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিমের জেলা গুলিতে। সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলিয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তাই শহরে সব কটি উড়ালপুর ফের খুলে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
আরও পড়ুন, কাটেনি আচ্ছন্নভাব বুদ্ধদেবের, দেওয়া হল রেমডেসিভির ইনজেকশন
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ওড়িশা এবং বঙ্গীয় উপকূলে অতি শক্তিশালী ঝড়ের দাপট চলছে। গতিবেগ রয়েছে ঘন্টায় ১৫৫ কিমি। আরও ৯ ঘন্টা চলবে এমন পরিস্থিতি। এটি ধীরে ধীরে ওড়িশার বালেশ্বেররের থেকে আরও উত্তর-পশ্চিমে ঝাড়খন্ডের দিকে সরে যাচ্ছে। যদিও এদিন নির্ধারিত সময়ের আগেই উড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় যশ। ঝড়ের দাপটে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা উপকূলবর্তী এলাকায়। দুর্যোগ চলে দক্ষিণবঙ্গেও।তবে এবারের মতো রক্ষা পেল কলকাতা।
আরও পড়ুন, 'ফল পাড়বে- না রাখবে', পরামর্শ না পেয়ে 'যশ'-র আতঙ্কে ঘুম উড়ল আম-লিচু মালিকদের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে ভরা কোটালের ফলে রাজ্যে আরও বেশি ক্ষতি হয়েছে। নীচু এলাকায় বন্যা হয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ১৫ টি বাঁধ ক্ষতির সম্মুখীন। গোসাবার গ্রামে বিদ্যাধরী নদীর জল ঢুকে গিয়েছে। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, পূর্ব মেদিনীপুরে ৫১টি বাঁধ ভেঙেছে। দীঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর স্টেশন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এই অবধি ২০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যদিও পানীয় জল পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্য বলেছেন, 'সবাইকে অনুরোধ করব, একটু কষ্ট করুন।' অপরদিকে এদিন অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Yaas)এর আশঙ্কা শহরের প্রায় ৯ টি গুরুত্বপূর্ণ ফ্লাইওভার। তবে এদিন কলকাতা থেকে বিপদ কাটতেই সব কটি উড়ালপুর ফের খুলে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।