ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বিধাননগরে বেশ ভালো। কোথাও জল জমে রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে একাধিকবার বিধাননগর পুরনিগমের তরফে অভিযান চালানো হয়েছে। বিভিন্ন সতর্কতামূলক প্রচারও করা হয়েছে।
করোনা (Corona) এখনও পর্যন্ত বিদায় নেয়নি রাজ্য (West Bengal) থেকে। আর তার মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গুর (Dengue) প্রকোপ। বিধাননগরের (bidhannagar) বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গু নিয়ে রীতিমতো নাজেহাল স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকজন। জমা জল (Water stagnation) ও নোংরাতেই ডেঙ্গুর মশার (Mosquitoes) জন্ম হয়। অনেক সময় দেখা গিয়েছে বাড়ির ছাদেও (House Roof) জল জমে থাকে। কিন্তু, তা হয়তো টেরই পান না বাড়ির সদস্যরা। ফলে সেখানেই জন্ম নেয় ডেঙ্গুর মশা। এদিকে সবার বাড়ির ছাদে জল জমে রয়েছে কিনা তা খুঁজতে গিয়ে বাধা পেতে হয় তাঁদের। অনেক বাড়িতেই তাঁদের ছাদে উঠতে দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ। তাই এবার ছাদের উপর জমা জল খুঁজতে ড্রোন (Drone) দিয়ে নজরদারি চালাল বিধাননগর পুরনিগম (Bidhannagar Municipal Corporation)।
ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বিধাননগরে বেশ ভালো। কোথাও জল জমে রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে একাধিকবার বিধাননগর পুরনিগমের তরফে অভিযান চালানো হয়েছে। বিভিন্ন সতর্কতামূলক প্রচারও করা হয়েছে। এমনকী, দেওয়া হয়েছে মশার তেল (mosquito oil), ব্লিচিং পাউডার। কিন্তু, স্থানীয়দের বাড়ির ছাদে জল জমে রয়েছে কিনা তার খোঁজ করতে গিয়ে বাধার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁদের। অনেক বাসিন্দাই তাঁদের বাড়ির ছাদে যেতে দেন না বলে অভিযোগ। এদিকে কার বাড়ির ছাদের জল জমে রয়েছে তা বুঝবেন কীভাবে তাঁরা? কারণ বাড়ির ছাদে ফুলের টব, পরিত্যক্ত জিনিস অনেক সময় থাকে। আর তাতেই জমে থাকে জল। সেটাই মশার আঁতুড় ঘর হয়ে দাঁড়ায়। সেই কারণেই এবার বিধাননগর পুরনিগমের তরফে ড্রোন ব্যবহার করা হল। স্বয়ং বিধাননগর পুরনিগমের প্রশাসক কৃষ্ণা চক্রবর্তী (Krishna Chakraborty) দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করেন। ড্রোনের সাহায্যে দেখা হচ্ছে প্রতিটি বাড়ির ছাদ। যাদের বাড়ির ছাদ থেকে জমা জলের ছবি ধরা পড়ছে তাদের নোটিস পাঠানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি সল্টলেক (Salt Lake) এ কে(AK) ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করেন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, “একাধিক বাড়ির ছাদে জমা জল দেখা গিয়েছে। বেশ কয়েকজনকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। আরও পাঠানো হবে। তিন চারদিন তাঁদের সময় দিয়েছি। তারপরই আমি লোক পাঠাব। কারণ আমার কাছে সাধারণ মানুষ আগে। আমাদের মানুষ বিশ্বাস করে, ভরসা করে এখানে এনেছে। আমাদের দায়িত্ব তাঁদের পাশে থাকা। আমাদেরও মানুষের কাছে আবেদন আপনারা আমাদের পাশে থাকুন। আপনাদের ভালোর জন্যই আমরা এই কাজটা করছি।”
আরও পড়ুন- ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে নিয়মিত ওষুধের বদলে কাজে লাগান এই উপায়
বাচ্চা থেকে শুরু করে প্রাপ্ত বয়স্ক সবাই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। ডেঙ্গি জ্বরের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে পেশী ব্যথা, হাড়ের ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা, ফুসকুড়ি, মাথাব্যথা, বমিভাব। এই রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে অত্যাধিক জ্বর হয়ে থাকে। সেই সঙ্গে থাকে গায়ে ও মাথায় ব্যথা। এটি সাধারণত দুই থেকে সাতদিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই পর্যায়ে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ উপসর্গে শরীরে র্যাশ বেরোয়। এটা উপসর্গের প্রথম বা দ্বিতীয় দিনে লাল ফুসকুড়ি হিসেবে দেখা দেয়, অথবা পরে অসুখের মধ্যে হামের মতো র্যাশ দেখা দেয়। এছাড়া অনেকের মুখ ও নাকের মিউকাস মেমব্রেন থেকে অল্প রক্তপাতও হতে পারে।