হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি সংক্রমণ, কলকাতায় মৃত্যু হল এক পুলিশ কর্মীর

শহরে পর পর ডেঙ্গিতে মৃত্যুর ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বেগে প্রশাসন। কিছুদিন আগেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয় মৃত্যু হয় এক প্রসূতির। তারপর ফের জগদ্দলে মৃত্যু হয় আরও একজনের। 

Web Desk - ANB | Published : Oct 29, 2022 1:02 PM IST / Updated: Oct 29 2022, 11:05 PM IST

শীতের মুখেও দাপট কমছে না ডেঙ্গুর। রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। শনিবার ফের শহরে ডেঙ্গিতে মৃত্যু। এবার মৃত্যু হল বছর পঞ্চাশের এক পুলিশ কর্মীর। বেশ কয়েকদিন ধরেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। অবশেষে শনিবার মৃত্যু হয় তাঁর। শহরে পর পর ডেঙ্গিতে মৃত্যুর ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বেগে প্রশাসন। কিছুদিন আগেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয় মৃত্যু হয় এক প্রসূতির। তারপর ফের জগদ্দলে মৃত্যু হয় আরও একজনের। 

পুলিশসূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবারই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে CMRI হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পঞ্চাশোর্ধ পুলিশ কর্মী। শুক্রবার রাত থেকেই অবস্থার অবনতি ঘটে। শনিবার সকাল ৫টা নাগাদ মৃত্যু হয় ওই পুলিশ কর্মী।

প্রসঙ্গত, বুধবার ডেঙ্গি আক্রান্ত হয় মৃত্যু হয় জগদ্দলের বছর ৫৫-এর দীনবন্ধু ঘোষের। সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেক আগে থেকেই শারীরিক সমস্যা নিয়ে বেলেঘাটা আইডি ভর্তি ছিলেন তিনি। এর আগেও ভবানীপুরে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয় মৃত্যু হয় এক প্রসূতির। উল্লেখ্য বর্ষা পেরিয়ে শীত আসার সময় হয়ে গেলেও রাজ্যে কিছুতেই কমছে না ডেঙ্গির দাপট। ঘটনায় উদ্বেগে প্রশাসন। 

সপ্তাহখানেক আগেই বেলেঘাটা আইডি ভর্তি হন জগদ্দলের ৫৫ বছর বয়সী দীনবন্ধু ঘোষ। সম্প্রতি শারীরিক অস্থার অবনতি হওয়ায় সিসিইউতে স্থানন্তরিত করা হয় তাঁকে। বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হলে ডেথ সার্টিফিকেট ডেঙ্গি সংক্রমণের উল্লেখ্য করা হয়। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। কিন্তু বছর ঘুরতে চললেও কেন কমছে না ডেঙ্গু সংক্রমণ? আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনাই কি কারণ? কী বলছে প্রশাসন? 

বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার পাশাপাশি অপরিকল্পিত নগরায়ণও এই ডেঙ্গির বারবারন্তের কারণ। একদিকে অক্টোবর শেষ হয়ে নভেম্বর আসতে চললেও পিছু ছাড়ছে না বৃষ্টি। পাশাপাশি অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ণকেও ডেঙ্গি সংক্রমণের কারণ হিসেবে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

প্রসঙ্গত, শুধু কলকাতা নয় মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ বাড়ছে জেলাগুলিতেও। গত পাঁচ বছরের পরিসংখ্যান বলছে,৩৬তম সপ্তাহে ২০১৭ সালে আক্রান্ত হন ৮৪৪ জন এবং ২০১৮ সালে ১৩০৪ জন। ২০২০ সালে অতিমারির সময় বেশ খানিকটা কমেছিল মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ। ২০২০ সালে ৮৬ জন ও ২০২১ সালে ১৪১ জন আক্রান্ত হন।  শেষ দুই বছরের মোট আক্রান্তের তুলনায় আট গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে চলতি বছরের ১ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর। 

 

আরও পড়ুন - 

উত্তর কোরিয়ার টার্গেট জাপান সাগর, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আবারও মিলাইল উৎক্ষেপণ কিম জং উনের

কিশোরীকে পার্টিতে মদ খাইয়ে বেহুঁশ করে গণধর্ষণ, নাম জড়াল রাজ্যের মন্ত্রীর ছেলের

ইমরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ISI-র, সাংবাদিক বৈঠক করে বোমা ফাটালেন গোয়েন্দা প্রধান

Share this article
click me!