সংক্ষিপ্ত

ইমরান খানের বিরুদ্ধে এবার আসরে নামল পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রীতিমত সাংবাদিক সম্মেলন করে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন গোয়েন্দা প্রধান। 

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে এবার বড় অভিযোগ তুললেন পাকিস্তানের গোয়েন্দা প্রধান। তিনি বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান  দেশের গোয়েন্দা বাহিনীকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক কাজের জন্য দেশের গোয়েন্দা বাহিনী ও সেনা বাহিনীকে  বলেছিল। কিন্তু তাতে গোয়েন্দা বহিনী রাজি হয়নি। তেমনই রাজি হয়নি সেনা বাহিনী।  সেই কারণেই ইমরান এই দুই বাহিনীর ওপর রীতিমত  ক্ষুব্ধ ছিলেন। সাংবাদিক বৈঠকে  এই অভিযোগ করেন দেশের গোয়েন্দা বিভাগ আইএসআই-এর প্রধান লেফটেন্যান্ট - জেনারেল নাদিম আঞ্জুম। তিনি আরও অভিযোগ করেন তিনি ইমরানের কথা শোনেননি, আর সেই জন্যই তাঁকে সরানোর জন্য ষড়যন্ত্র করেছিলেন ইমরান। 

ইমরান খান  সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনীকে দিয়ে অসামরিক কাজ করাতে চেয়েছিল। কিন্তু সামরিক বাহিনী নীতিগতভাবে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে চেয়েছিল। তার ইমরান খান একাধিকবার বার অনুরোধ করলেও  সামরিক বাহিনী তা প্রত্যাখ্যান করেছিল। আঞ্জুম আইএসআই-এর প্রধান। তিনি সচারচর জনসমক্ষে উপস্থিত হন না। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি ইমরানের বিরুদ্ধে রীতিমত বোমা ফাটালেন। কিন্তু ইমরান খান তাঁদের কী ধরেন কাজ করতে অনুরোধ করেছিল তা নিয়ে কিছুই খোলসা করেননি তিনি। 

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীকে দীর্ঘকাল ধরেই দেশের সবথেকে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। স্বাধীনতার পর থেকে  এপর্যন্ত পাকিস্তানে অধিকাংশ সময়ই সেনা বাহিনীর শাসনই চলেছে। কারণ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীরা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হলেও  সাধারণত সেনা বাহিনীর দ্বারা নিয়ন্ত্রণ হয়। পাকিস্তান রাজনীতিতে সেনা বাহিনীই শেষকথা বলে। তবে এটাঠিক যে পাকিস্তানের সেনা বাহিনীর সঙ্গে ইমরান খানের সুসম্পর্ক ছিল না। সেনা বাহিনীর উর্ধ্বে উঠে তিনি  কাজ করতে চেয়েছিলেন। যদিও ২০১৮ সালে ইমরানের ক্ষমতায় আসার পিছনে মূল হোতাই ছিলে সেনা বাহিনী। যদিও দুই তরফই তা অস্বীকার করে। 

যাইহোক ইমরান খানের দল তেহরিক -ই -ইনসাফের নেতা আসাদ উমর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আঞ্জুম বলেছেন, সেনা বাহিনী অতীতেও ভুল করেছে। তবে রাজনীতি থেকে দূরে থাকার বিষয়ে সম্প্রতি এই সংগঠন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তার নড়চড় হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

এপ্রিল মাসেই ইমরান খানকে সরিয়ে দেওয়া হয় ক্ষমতা থেকে। তারপর পাকিস্তান সরকার একের পর এক ইমরান বিরোধী সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে। সম্প্রতি ইমরান খানকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের জন্যও অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে প্রায় স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার পথে ইমরানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। এরই প্রতিবাদে ইমরানের সমর্থনে পাকিস্তানে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ মিছিল। আগামী অক্টোবরে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। এই অবস্থায় শাসক ও বিরোধী দুই পক্ষই নিজেদের অস্ত্রে ধার দিতে ব্যস্ত। 

সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ দমিয়ে কাশ্মীরের উন্নয়নে বিশেষ নীতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের
জগদ্ধাত্রী পুজোর দশমীতে ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে চন্দননগরে, সিদ্ধান্ত মন্ত্রীর উপস্থিতিতে

দেনা পরিশোধের জন্য মহিলাদের বিক্রি, খতিয়ে দেখতে রাজস্থানে মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল