বউবাজারে মেট্রোর কাজে ভোগান্তি বাসিন্দাদের, বাড়ি ছাড়তে হল ডায়ালিসিস রোগীকেও

  • ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু
  • বউবাজারে মেট্রোর কাজে 'ঘরছাড়া' অনেকেই 
  • 'ঘরছাড়া' করা হল এক ডায়ালিসিস রোগীকেও 
  • অপরদিকে অসুস্থ মাকে নিয়ে একাকী ছেলে 

Asianet News Bangla | Published : Feb 24, 2020 7:57 AM IST / Updated: Feb 24 2020, 01:30 PM IST

বউবাজারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের জন্য নতুন করে 'ঘরছাড়া' হলেন অনেকেই। তাদের মধ্য়ে বাড়ি ছাড়তে হল ডায়ালিসিস রোগী শিবাজী ধোনিকেও। অপরদিকে ভিন্ন চিত্র চৈনত সেন লেনের ভট্টাচার্য পরিবারে। আল্পনা ভট্টচার্যকে প্রথমবার কেমো দেওয়ার পর, মাকে নিয়ে ফাঁকা চৈনত সেন লেনে পড়েছেন তাঁর ছেলে।

আরও পড়ুন, মেডিক্যাল কলেজে দীর্ঘ লড়াই পর বোমায় জখম শিশুর মৃত্যু, গ্রেফতার ১


সূত্রের খবর, চৈতন সেন লেনের বাসিন্দা শিবাজী ধোনি । গত তিন বছর ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তিনি। সপ্তাহে তিন দিন করে হয় ডায়ালিসিস। গত শনিবারও পড়েছিল ডায়ালিসিসের দিন। চিকিৎসক বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিলেও বিশ্রাম না নিয়েই সেদিন ঘর ছাড়তে হয় ষাটোর্ধ জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন আধিকারিক শিবাজী বাবুকেও।  পরিবারের অভিযোগ, 'মেট্রো কর্তৃপক্ষকে চিকিৎসকের পরামর্শের কথা জানিয়ে দু-একদিন বিশ্রামজনিত কারণে বাড়িতে থাকার অনুরোধ জানানো হলেও তারা তাতে কোনরকম সাহায্য় করেনি'। কেএমআরসিএলের জারি করা নোটিশ মোতাবেক অসুস্থ শরীর নিয়ে ডায়ালিসিসের দিনই তড়িঘড়ি ঘর ছাড়তে বাধ্য হন শিবাজি ধোনি ও তাঁর পরিবার। একদিকে অসুস্থ আর অন্যদিকে আতঙ্ক নিয়ে কার্যত এখন কলকাতার রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের একটি হোটেলে বন্দি জীবন কাটছে তাঁর।

আরও পড়ুন, ফের বাড়তে চলেছে দুধের দাম, মধ্যবিত্তের কপালে ভাঁজ  

অপরদিকে, ২৪ ঘন্টা আগেই প্রথম কেমো দেওয়া হয়েছে চৈনত সেন লেনের বাসিন্দা আল্পনা ভট্টচার্যকে। যার দরুণ কোনও ভাবেই তাকে অন্য জায়গা নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কেমো চলাকালীন ধুলো-বালি থেকে বাঁচিয়ে রাখা বাঞ্চনীয়। বাড়ির মতো পরিস্থিতি হোটেলে পাওয়া যাবে না, তাই বিপদ নিয়েই থাকতে হচ্ছে পুরনো এলাকাতেই। ছেলে সায়ন বলেন, 'কাকারা সবাই চলে গিয়েছে। মাকে নিয়ে আমি আছি। আগে আমার মা, তারপর সব।' 

আরও পড়ুন, বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করল বিদ্যুৎ দপ্তর, নয়া বেতনক্রমের আওতায় অবসরপ্রাপ্তরাও

মেট্রো সূত্রে খবর, ইষ্ট-ওয়েস্ট মেট্রো দ্বিতীয় মেশিন কাজ শুরু করেছে।  কাজের জন্য সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসেবে বৌবাজার চত্বরের বেশ কিছু বাড়ি খালি করা হয়েছে। বাড়ির বাসিন্দা দের এমব্যাসি, গ্রীন ইন এইসব হোটেলে রাখা হয়েছে। গতকাল প্রায় ৬০ জনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে চৈতন্য সেন লেন। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের জন্য় বিপদ এড়াতে বহু বাড়ির বাসিন্দা পুরনো বাড়ির বাসিন্দাদের হোটেলে রাখা হয়েছে।
 

Share this article
click me!