বিজেপির মহিলা কর্মীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় এবার মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি। দিলীপ ঘোষ বলেন, হিংসাকেই এখন নীতি হিসাবে মেনে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই হামলার পর মুখ্য়মন্ত্রীর চেয়ারে বসার অধিকার হারিয়েছেন মমতা।
নতুনদের সঙ্গে পুরোনোদের সংঘাত, অশোকনগর বিজেপিতে ধুন্ধুমার কাণ্ড
রাজ্য় রাজনীতির সাম্প্রতিক ঘটনা বলছে, গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক মহিলা বিজেপি কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে, দক্ষিণ পরগনা বিষ্ণুপুর থানা রঘুদেবপুর গ্রামে। গুলিবিদ্ধ গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি করে বলেই তাদের বাড়ির উপর এই আক্রমণ। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে।
আক্রান্ত মহিলার অভিযোগ, কেবল বিজেপি করার 'অপরাধে' এলাকার বেশ কিছু বাড়ি ভাঙচুর করে তৃণমূলের লোকজন। খোঁজ করা হয় ওই মহিলার স্বামীর। এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবেই পরিচিত আক্রান্ত মহিলা ও তাঁর স্বামী। স্থানীয়রা জানান, গৃহবধূর স্বামী অরুণ নস্কর বিজেপির বুথ কমিটির দায়িত্ব সামলান। ওনার স্ত্রী রাধারানি নস্কর দলের কোনও কমিটির হিসাবরক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন ।
'বিজেপি করার অপরাধে' বিষ্ণুপুরে গুলিবিদ্ধ মহিলা কর্মী,কাঠগড়ায় তৃণমূল
অভিযোগ, সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ তৃণমূলের দুষ্কতীরা আগ্নেয়াস্ত্র-সহ তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। প্রথমে রাধারানি নস্করকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে মারধর করে হামলাকারীরা। মহিলা পাল্টা ঝাঁটা ছুড়ে মারতেই গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি লাগে মাথার পিছনে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন রাধারানি নস্কর। বেগতিক দেখে পালিয়ে যায় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা।
কলকাতার সেরা পাঁচ রাস্তার খাবার, না খেলে জীবন বৃথা আপনার
আওয়াজ পেয়ে ছুটে ছুটে আসে এলাকার মানুষজন। তারাই মহিলাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি দেখে চিকিংসকেরা কলকাতার নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। বিজেপি সভাপতির অভিযোগ, ৪ তারিখ গোটা রাজ্যে বিজেপি গণতন্ত্র বাঁচাও কর্মসূচি পালন করেছে। তারপর থেকেই জেলায়-জেলায় কর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে। একাধিক জায়গায় বোমাবাজি হয়েছে। পুলিশের সামনেই এই হামলার ঘটনা ঘটছে।