'শুভেন্দুর দল ছাড়াটা অবসম্ভাবি ছিল', রাজ্য়ের পরিবহণ মন্ত্রীর পদত্যাগ ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া রাজ্য বিজেপি সবাপতি দিলীপ ঘোষের। তিনি জানিয়েছেন, 'তৃণমূল দলটাতে বড় বড় উচ্চ পদস্ত কর্মচারী রয়েছেন। কিন্তু বাকিরা সবাই কর্মচারী। কর্মচারীরা সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে পারছেন না। তাই শুভেন্দুর মতো এমন বহু লোক, দলীয় নেত্রীর উপর ক্ষুব্ধ। শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগ বলে দিচ্ছে, তৃণমূলের পতন শুরু হয়েছে। এছাড়া শুভেন্দু অধিকারী দীর্ঘদিন ধরেই দলের মধ্যে কোণ ঠাসা হয়ে আছেন বলেও মনে করেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতো লড়াকু নেতাকে কাৎ করতে দিচ্ছে না তৃণমূলের শীর্ষ নের্তৃত্ব। অথচ শুভেন্দু ও আরও তাঁর মতো অনেক যুব নেতা বাংলাকে বাঁচানোর জন্য লড়াই করেছিলেন। এদের যোগ্য সম্মান দিতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। এই দলটি এখন বিভিন্ন ধরণের দুর্ণীতিতে ভরে গিয়েছে। যারা সম্মান নিয়ে কাজ করতে চান, তাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে আসছেন। যেমন তৃণমূল কংগ্রেস থেকেই এসে যোগ দিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। তিনি তৃণমূলে থাকাকালীন কোনও সম্মান বা মর্যাদা পাচ্ছিলেন না।'
শুভেন্দুর ভবিষ্যত কি বিজেপিতে ?
এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, 'এখনও পর্যন্ত এমন কোনও খবর নেই যে, শুভেন্দু বিজেপি যোগদান করেছেন। তবে তার মতো নেতাকে বিজেপিতে নেওয়ার জন্য তিনি স্বাগত জানাবেন। শুভেন্দুর মতো নেতাদের প্রয়োজন বাংলায় রয়েছে,' এমনই মনে করছেন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন, 'দলের ১০০% কর্মী ভালো নয়-তৃণমূলের সব আমার নজরে থাকে', বাঁকুড়ায় বিস্ফোরক মমতা
বিজেপির সঙ্গে কি যোগায়োগ করেছেন শুভেন্দু ?
এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, তিনি নাকি সংবাদমাধ্যমের কাছে এমন খবর পেয়েছেন যে, বিজেপির সঙ্গে কথা হয়েছে শুভেন্দুর। দিলীপ ঘোষের দাবি, তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি হয়েও এমন কোনও খবর জানেন না, 'তবে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদান করতে চাইলে আলোচনা হতে পারে। প্রয়োজনে তিনি শুভেন্দুর সঙ্গে কথা বলতেও রাজি। তবে এই নিয়ে শুভেন্দুকেও আগ্রহ প্রকাশ করতে হবে' বলে জানিয়েছেন দিলাপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি আরও জানিয়েছেন, 'প্রতিনিয়ত তৃণমূল ছেড়ে বহু নেতা-কর্মী বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে। এমনকি উত্তরবঙ্গের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীও এখন দিল্লিতে। এই তৃণমূল বিধায়কও শুক্রবার বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বলে দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ। বক্তব্য়ের শেষে তিনি আরও একবার জানান যে, বিধানসভা নির্বাচন আসতে না আসতেই তৃণমূলের ভাঙন কিন্তু শুরু হয়েছে। এই ঘটনা প্রমাণ করে, তৃণমূল দলটা এখন ছন্নছাড়া। সময় যত এগোবে তৃণমূল বলে কিছুই পড়ে থাকবে না', বলে দাবি করেন দিলীপ ঘোষ।