এক বছর পর কোথায় বসবেন ঠিক করে রাখুন, ফিরহাদকে পাল্টা দিলীপের

  • রাজ্য়পাল নিয়ে ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য়ের পাল্টা
  • এবার পাল্টা দিলেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি
  •  ধনখড়কে বিজেপির পার্টি অফিসে বসতে বলেন ফিরহাদ
  • যার উত্তরে ফিরহাদকে একহাত নেন দিলীপ ঘোষ  

Asianet News Bangla | Published : May 2, 2020 8:54 PM IST / Updated: May 03 2020, 02:36 AM IST

রাজ্য়পাল নিয়ে ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য়ের পাল্টা দিলেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি। এদিনই জগদীপ ধনখড়কে রাজভবন ছেড়ে বিজেপির পার্টি অফিসে বসার কথা বলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন। রাজ্যপাল কথায় বসবেন সেটা ওনাদের ঠিক করে দিতে হবে না। তা দেখার লোক আছে দিল্লিতে।

রাজভবন ছেড়ে বিজেপির পার্টি অফিসে বসুক, রাজ্য়পাল নিয়ে খোঁচা ফিরহাদের.

এই বলেই অবশ্য় থেমে থাকেননি দিলীপবাবু। বিজেপির রাজ্য় ব্রিগেডের কাণ্ডারি বলেন, একবছর পর ওনারা কথায় বসবেন তা ঠিক করে রাখুন। এদিন মুখ্য়মন্ত্রী-রাজ্য়পাল চিঠি বিনিময়ের মধ্য়েই ময়দানে নামে তৃণমূল। রাজ্য়পালকে রাজভবনে  না বসে বিজেপির পার্টি অফিসে বসার পরামর্শ দেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কলকাতার মেয়রের অভিযোগ,রাজ্যপাল রাজ্য বিজেপি সভাপতির মতো কথা বলছেন।

ফুল দিয়ে অভিনন্দন, বাঙ্গুর হাসপাতাল থেকে সুস্থ হলেন ৪৬ জন করোনা রোগী..

এদিনই মুখ্যমন্ত্রীকে করা টুইটে তথ্য গোপনের অভিযোগ তোলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। টুইটে তিনি লেখেন, করোনা নিয়ে তথ্য় গোপনের কাজ বন্ধ করুন। স্বচ্ছতা বজায় রাখুন। ৩০ এপ্রিলের করোনা বুলেটিনে বলা হল রাজ্য়ে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্য়া ৫৭২। কিন্তু ১ এপ্রিল কোনও বুলেটিন প্রকাশ করা হল না। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের বুলেটিন বলছে,এই সংখ্যাটা ৯৩১। 

রাজ্য়ে গত ৪৮ ঘণ্টায় কোভিডে মৃত ১৫, আক্রান্ত ১২৭.

যদি এর মধ্য়ে কারও মৃত্যু হয় বা কেউ সুস্থ হয়ে ওঠেন তাও এই দুটি সংখ্যা কখনও মেলার নয়। এই সময় সাধারণ মানুষ অবর্ণনীয় যন্ত্রনার মধ্য়ে রয়েছেন। এই সময় সমন্বয়ের অভাব ভয়ঙ্কর। শকুনের মতো মৃতদেহের মতো রাজনৈতিক দলগুলিকে সরিয়ে দিন। সকলকে একজোট করুন। সকলকে স্পষ্ট করে সেই তথ্য দিন। ৩০ এপ্রিল স্বাস্থ্য বুলেটিনে ৫৭২ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেখানো হয়েছিল।

যার পরিপ্রেক্ষিতে ফিরহাদ বলেন, যে কথাটা রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলছেন সেই কথাই রাজ্যপাল বলছেন। রাজনৈতিকভাবে মোটিভেট হয়ে গিয়েছেন উনি। রাজভবনটা উনি রাজ্য বিজেপির সদর দফতর হিসেবে ব্যবহার করছেন। রাজ্যপাল অনৈতিক কাজ করছেন। রাজভবনের বসে এভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করতে পারেন না তিনি। রাজ্যপাল বরং রাজভবন ছেড়ে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে এসে বসুক। সেখান থেকেই তিনি কাজ করুক।

Share this article
click me!