একটি দেহ দোতলার ঘরে পড়েছিল। অন্য দেহটি পড়েছিল বাড়ির একতলায়। মৃতদের নাম সুবীর চাকি ও রবীন মণ্ডল।
খাস কলকাতায় (Kolkata) জোড়া খুন। গড়িয়াহাটের (Gariahat) ৭৮-এ কাঁকুলিয়া রোডের একটি দোতলা বাড়ি থেকে গতকাল গভীর রাতে দুই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার (Body Recover) করা হয়য়েছে। তাঁদের কবজি, ঘাড় এবং পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। একটি দেহ দোতলার ঘরে পড়েছিল। অন্য দেহটি পড়েছিল বাড়ির একতলায়। মৃতদের নাম সুবীর চাকি ও রবীন মণ্ডল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মারধরের পর হাতের শিরা কেটে তাঁদের খুন (Murder) করা হয়েছে। সম্পত্তিগত বিবাদের জেরে খুন বলে অনুমান।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশের দুর্গাপুজোয় হিংসা, আজ জেলায় জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাড়ির মালিক সুবীর। তবে বর্তমানে তিনি গড়িয়ার ওই বাড়িতে থাকতেন না। পরিবার নিয়ে নিউটাউনে (New Town) থাকতেন তিনি। তবে ছুটির দিনে মাঝে মধ্যেই বাড়িতে আসতেন। দোতলা বাড়ির নিচের তলা একটি বেসরকারি সংস্থাকে ভাড়া দেন। এদিকে কাঁকুলিয়া রোডের এই বাড়িটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সুবীর। তা নিয়ে বিভিন্ন ক্রেতার সঙ্গে কথাও হচ্ছিল। সম্ভবত বাড়ি বিক্রির জন্যই রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ গাড়িচালক রবীনকে সঙ্গে নিয়ে তিনি কাঁকুলিয়া রোডে যান বলে জানা গিয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধের (Sunday Evening) পর থেকে সুবীরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। যদিও তাঁর ফোন পাওয়া যায়নি। ফোনটি সুইচড অফ (Switched Off) ছিল। এরপর রাতেও বাড়ি ফেরেননি তিনি। তাতেই সন্দেহ হয় পরিবারে সদস্যদের। এরপর বাধ্য হয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তখন প্রতিবেশীরাই গড়িয়াহাট থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
আরও পড়ুন- উৎসবের মরশুমে অজানা জ্বরের প্রকোপ মুর্শিদাবাদে, আক্রান্ত বহু শিশু
খবর পেয়েই ঘটনাস্থানে পৌঁছায় গড়িয়াহাট থানার পুলিশ (Gariahat Police Station)। এদিকে ভিতর থেকে বন্ধ ছিল দরজা। কিন্তু, ডাকাডাকির পরও কারও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। তই বাধ্য হয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে পুলিশ। বাড়িতে ঢুকেই অবাক হয়ে যান তদন্তকারীরা। দেখেন দোতলা বাড়ির নিচেরতলায় পড়ে রয়েছে সুবীর চাকির দেহ। আর দোতলা থেকে উদ্ধার হয়েছে রবীন মণ্ডলের রক্তাক্ত দেহ। দেহদুটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। যদিও নিহতদের মোবাইলগুলির কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। কললিস্ট খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। পুরোনো শত্রুতা নাকি সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে খুন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।