সংক্ষিপ্ত

একাধিক শিশু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ফলে হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্ত শিশু ভর্তির সংখ্যাও বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশেষ ওয়ার্ডও খোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কাও।

চলছে উৎসবের মরশুম (Festive Season)। আর এই মরশুমের মধ্যেই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভগবানগোলা সহ বেলডাঙা, কান্দি, ভরতপুর, মহম্মদপুর ও রঘুনাথগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় শিশুরা অজানা জ্বরে (Unknown Fever) ভুগছে। করোনা পরিস্থিতির (Corona Situation) মধ্যে নতুন করে এই প্রকোপ শুরু হয়েছে। যার ফলে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকায়। 

এদিকে একাধিক শিশু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ফলে হাসপাতালে (Hospital) জ্বরে আক্রান্ত শিশু ভর্তির সংখ্যাও বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশেষ ওয়ার্ডও খোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের (Corona Third wave) ধাক্কাও। বেডের সংখ্যা বাড়ানো শুরু হয়ে গিয়েছে। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন হাসপাতাল মিলিয়ে‌ ইতিমধ্যে ২০০ এর অধিক শিশু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে।

 

আরও পড়ুন- প্রবল বৃষ্টির জেরে বধের আগে মাঠে দাঁড়িয়ে ভিজছে রাবণ, কোথাও ত্রিপলে মোড়া অবস্থায় পড়ে ময়দানে

অন্যদিকে করোনা হাসপাতালেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কয়েক দিন আগেও হাসপাতাল রোগীশূন্য ছিল। কিন্তু, নতুন করে শিশুরা জ্বর ও প্রাপ্ত বয়স্করা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ফলে মুর্শিদাবাদ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে গিয়েছে। যদিও তাঁদের দাবি, এখন সকলে একটু সজাগ হলেই সবকিছু নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে সচেতন না হলে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে। 

আরও পড়ুন- নবান্নের নির্দেশ, সৌন্দর্যায়নের জন্য ১০ কোটি টাকার আলোকসজ্জা মুর্শিদাবাদে

এ প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি অমিয়কান্তি বেরা বলেন, "এটা ভাইরাল জ্বরে মতোই। বেশ কিছুদিন ধরেই শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। চিকিৎসার পর অনেকেই কয়েক দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরছে। তবে করোনা মোকাবিলা করার জন্য সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। তাঁরা সহযোগিতা না করলে করোনাকে হারানো যাবে না। পুজো দেখার জন্য দর্শনার্থীরা নিজেদের মতো কর বেরিয়েছেন। অথচ তাঁদের অধিকাংশই মাস্ক ব্যবহার করেননি। দূরত্ব বিধিও কেউ মেনে চলেননি। এই অবস্থা চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে আগামী দিনে।"

আরও পড়ুন- লক্ষাধিক টাকার কাফ সিরাপ ও সর্ষের তেল পাচার হচ্ছিল বাংলাদেশে, গ্রেফতার ৫

চিকিৎসক রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "মানুষ করোনাকে ভুলে উৎসবের উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছিল। নিজেদের একটু সংযত রাখলে সবার পক্ষেই ভালো। মাস্ক পরার ক্ষেত্রে অনীহা দেখা যাচ্ছে। এর ফল এখনই পাওয়া যাবে না। কয়েক সপ্তাহ পর থেকে বোঝা যাবে। কোভিড বিধি না মানলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর আবার চাপ বাড়বে। দু’টি ঢেউ সামাল দিতে গিয়ে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। আবার সাধারণ মানুষের ভুলের জন্য যদি তৃতীয় ঢেউ চলে আসে তাহলে আবার সমস্যা বাড়বে।" তবে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার বিষয় নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের মতে, এটা সাধারণ ভাইরাল জ্বরের মতোই। কয়েক দিন থাকার পর আবার তারা সুস্থ হয়ে উঠবে। অবশ্য অসুস্থ শিশুদের বাইরে বের না করাই ভালো। জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁরা।

YouTube video player