আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা, তারপরেই উমা সপরিবারে হাজির হবেন মর্ত্যে। সারা বছর ধরে অধীর আগ্রহে মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন দুর্গা পুজোর জন্য। তার মধ্যে কলকাতার পুজো-কে ঘিরে উন্মাদনা থাকে আরও তুঙ্গে। থিম পুজোর দৌড়ে কম বেশী এগিয়ে সব ক্লাবই। প্রতি বছরের মতো এবছর ও কলকাতার উল্লেখ্যযোগ্য ক্লাবগুলি থিম পুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। উত্তর কলকাতার ক্লাবগুলির মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হল তেলেঙ্গাবাগান সার্বজনীন। প্রতি বছরের মতো এ বছরও তারা ভিন্ন স্বাদের থিম নিয়ে হাজির হয়েছে।
দেখে নিন- নাম লেখাননি এখনও, দেরি না করে অংশ নিন এশিয়ানেট নিউজ শারদ সম্মান ২০১৯-এ
তেলেঙ্গাবাগান সার্বজনীন এই বছর ৫৪ বছরে পা দিল। তাদের এই বছরের থিম হল জগতে যে সমস্ত পুর্ণজন্ম হয়েছে, যে সমস্ত মণিষীরা তাদের বাণী দ্বারা ঋগ্ধ করেছেন সেই সমস্ত তত্ত্ব সৃজনশীলতা দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হবে। পুর্ণজন্মের পরও মানুষের আর্কষণ থেকে যায়, তাই তাঁরা আবারও জন্ম নেয়। বর্তমান সমাজে লোভ, আকাঙ্খা, হিংসা-র থেকে এক খারাপ পরিস্হিতিতে এসে দাঁড়িয়েছে। বারবার ফিরে এসে এই সমাজের কলুষতা দূর করতে হবে। এখন ও পর্যন্ত তেলেঙ্গাবাগান সার্বজনীন কমিটির পুজো বহু পুজোর অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পঁয়তাল্লিশ ফুট লম্বা প্রতিমা'র মাধ্যমে শিল্পী মলয় দাস এটাই বোঝাতে চাইছেন যে দেবী দুর্গা বিশ্ব- ব্রহ্মাণ্ডকে ধরে রয়েছেন। বিশাল উঁচু ঠাকুরকে মধ্যমণি হিসেবে রেখে তাঁর চারপাশে এন্টিক্লক ভাবে রয়েছে দেবী দুর্গার অস্ত্রদাতা ও অস্ত্রদাত্রী দেব-দেবীরা।
আরও পড়ুন- জানবাজারের ঐতিহাসিক রানি রাসমনির বাড়ির পুজো, এই পুজোয় সামিল হতেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব
গত বছর তাদের থিম ছিল আলোর পথযাত্রী। গোটা দেশে সাম্প্রদায়িকতার যে বিষ মিশছে তা কাটিয়ে উঠে নতুন দিনের সূচনা হবে। এই নিয়েই বার্তা দিয়েছিলেন তাঁরা। এবছর ও তাঁরা আশাবাদী তাঁদের পুজো নিয়ে। মেডিকেল টিম এবং অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের-ও সুব্যবস্থা প্যান্ডালে রাখা হয়েছে, রয়েছে কঠোর সিকিউরিটি ব্যবস্থা এবং সি সি টিভি ক্যামেরা। এছাড়াও রয়েছে যথাযথ পুলিশি ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন- মায়ের আরাধনায় সল্টলেক এসি ব্লকে থাকছে কবিগুরুর ছোঁয়া
শিল্পী মলয় দাস দর্শনার্থীদের কাছে অনুরোধ করেছেন তাদের আসতে এবং অন্যভাবে পুজো উপভোগ করতে। তেলেঙ্গা বাগান এবারের পুজোয় অন্য এক বার্তা দিতে চাইছে এবং ক্লাব কর্তৃপক্ষ থেকে শিল্পী সবাই এই বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী দর্শকদের মনোরঞ্জন নিয়ে। ৬৫, অধর চন্দ্র দাস লেন, উল্টোডাঙা, কলকাতা-৬৭, হল ক্লাবটির ঠিকানা। এই বছরে তাদের থিম কতটা কার্যকরী হয় তা জানতে হলে পুজো পর্যন্ত অপেক্ষা।