১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ মেট্রোর কাজ, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

  • ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ মেট্রোর কাজ
  • নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট
  • ডাকা হচ্ছে মাটি বিশেষজ্ঞদের
  • রিপোর্ট পেলে তবেই ফের কাজ শুরু

debojyoti AN | Published : Sep 3, 2019 9:07 AM IST / Updated: Sep 03 2019, 02:39 PM IST


বউবাজারে ইষ্ট ওয়েষ্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গ খুঁড়তে গিয়ে বিপত্তির জেরে আপাতত  ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করণ নায়ার রাধাকৃষ্ণন ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। হাইকোর্ট জানিয়েছে,আদালত অনুমতি দিলে তবেই ফের কাজ শুরু করা যাবে। এই সময়ের মধ্যে বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট সহ সমস্ত রিপোর্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষকে আদালতের কাছে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। 

আরও পড়ুন :মুহূর্তে গুঁড়িয়ে গেল তিনতলা বাড়ি, দুর্গা পিতুরি লেন জুড়ে হাহাকার

আরও পড়ুন :বউবাজারে মুখ্যমন্ত্রী, রাজনীতি না করে মেট্রোকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি মমতার

ইষ্ট ওয়েষ্ট মেট্রো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে পুরোনো একটি জনস্বার্থ মামলা চলছিলই। বউবাজারে দুর্ঘটনার জেরে বিষয়টি নিয়ে গতকাল আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলাকারী সংগঠনের আইনজীবী ঋজু ঘোষাল। প্রধান বিচারপতি গতকালই জানিয়েছিলেন আজ মামলাটি শুনবেন। সেই অনুযায়ী এদিন শুরু হয় শুনানি। এদিন ঋজুর পাশাপাশি আইনজীবী সপ্তাংশু বসু বলেন, বউবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সদস্যদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাদের প্রত্যেকটি পরিবারের অন্তত একজনকে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে বাড়িতে ঢুকে জিনি, নেওয়ার জন্য় অনুমতির আবেদন করা হয়েছে।  
 মেট্রোর তরফে আইনজীবী জিষ্ণু সাহা বলেন, ৩২৩ জনকে ইতিমধ্যেই অন্য জায়গায় সুরক্ষিত স্থানে রাখা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থান নিয়ে কী করা যায় এর জন্য বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা রিপোর্ট দিলে তা আদালতে পেশ করা হবে। আদালত অনুমতি দিলে তবেই ফের কাজ শুরু করা হবে। ইতিমধ্যে ৯.৮ কিমি কাজ হয়ে গেছে। আর প্রায় ১ কিমি কাজ বাকি রয়েছে। ঘটনার পরই আমরা কাজ বন্ধ রেখেছি। রাজ্য সরকারের হয়ে মামলায় ছিলেন রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত।

এদিকে এ দিন সকালেই দুর্গা পিতুরি লেনের মধ্যে হেলে পড়া একটি বহুতল ভেঙে পড়ে। ১৩এ নম্বর ওই বাড়িটি রবিবার থেকেই হেলে ছিল। ওই বাড়ির কাছেই আরও একটি বাড়ি একইরকম বিপজ্জনক ভাবে হেলে রয়েছে। ফলে সেই বাড়িটিও যখন তখন হেলে পড়তে পারে। কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। যদিও, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তাঁরা ঝুঁকি নিয়েই ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি বা দোকানের মধ্যে ঢুকে নিজেদের মূল্যবান জিনিস বের করে আনতে চান। চোখের সামনে বাড়ি ভেঙে পড়তে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকেই। কারণ ওই বাড়ির নীচে সোনার গয়নার কারখানা এবং দোকানও ছিল। বাড়ি ভেঙে পড়ায় বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ী এবং কর্মীরা। 

Share this article
click me!