করোনার আবহে এবার দেহ সরানো নিয়ে টানাপোড়েন। বিতর্কে জড়াল কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজের নাম। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, মৃত্যুর দিন দেহ মর্গে নিয়ে যাওয়ার কর্মী পাননি তারা। বাধ্য় হয়ে পিপিই পরে পরিবারের লোককে সরাতে হয় মৃতদেহ। যদিও এ নিয়ে মুখ খোলেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
পিপিই-মাস্ক পাচ্ছেন না, বিক্ষোভে কাজ বন্ধ করলেন আরজি করের ২০০ জুনিয়র ডাক্তার
ঘটনার সূত্রপাত, গত ৬ মে। অসুস্থ বোধ করেন দমদমের কাশীপুরের রাজাবাগানের এক বাসিন্দা। স্থানীয় চিকিৎসক কলকাতা মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। প্রথম থেকেই শ্বাসকষ্ট থাকায় তাঁকে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি নেয় হাসপাতাল। কয়েক ঘণ্টা পরে পরিবার জানতে পারে ওই ব্য়ক্তির মৃত্যু হয়েছে। যদিও ওয়ার্ড থেকে মর্গে নিয়ে যাওয়ার মতো চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নেই।
সংক্রমণ বেড়েই চলেছে কলকাতায়, কন্টেইনমেন্ট জোন ছুঁল ৩৩৮
পরিবারের দাবি, হাসপাতালে গেলে মৃতদেহ মর্গে সরানোর জন্য রোগীর আত্মীয়দের হাতেই পিপিই তুলে দেওয়া হয়। সেই পিপিই পরেই দেহ মর্গে নিয়ে যায় মৃতের ভাই। সাহায্যের জন্য এক ব্যক্তিকে ভাড়াও করে পরিবার। এমনকী কী কারণে এই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তা নিয়েও ধোঁয়াশা রাখা হয়। যদিও এ নিয়ে হাসপাতালের কোনও বক্তব্য় পাওয়া যায়নি।
বিজেপিকে করোনা অস্ত্রে ঘায়েল করার পরিকল্পনা, গুজরাতের ভিডিয়ো আনছে তৃণমূল
রাজ্য়ের করোনা পরিস্থিতি বলছে, বহু ক্ষেত্রেই করোনার মৃতদেহ লোপাটের অভিযোগ এনেছেন বিরোধীরা। সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য়ের করোনা হাসপাতালের একাধিক চিত্র। সেখানে দাঁড়িয়ে কেন দাদার দেহ মর্গে সরাতে ভাইকে পিপিই পরতে হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে রাজ্য়ের ওয়াকিবহাল মহল