মুখমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য, রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে কুরুচিকর মন্তব্যের জেরে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে নিয়ে সদ্য করা ফেসবুক লাইভে অশালানীন মন্তব্য করেছে রোদ্দুর রায়।  

Web Desk - ANB | Published : Jun 4, 2022 8:34 AM IST / Updated: Jun 04 2022, 07:04 PM IST

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে কুরুচিকর মন্তব্যের জেরে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে নিয়ে সদ্য করা ফেসবুক লাইভে অশালানীন মন্তব্য করেছে রোদ্দুর রায়। এরপরেই রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে চিৎপুর থানায় লিখিত অভিযোগ এনেছেন তৃণমূল নেতা ঋজু দত্ত। 

সম্প্রতি ফেসবুক লাইভ করেছিলেন রোদ্দুর রায়। দেড় ঘন্টার সেই লাইভে একাধিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি। নিজস্ব ভঙ্গিতেই আক্রমণ করেন বিশিষ্ট জনকে। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। লাইভে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও  অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন রোদ্দুর রায়। আর তারপর পরই  রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে চিৎপুর থানায় লিখিত অভিযোগ এনেছেন তৃণমূল নেতা ঋজু দত্ত। একদিকে যেমন রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং মিটিং মিছিল হলে রাস্তায় সাধারণ মানুষ ভুক্তভুগি হয়ে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে কুরুচিকর মন্তব্য করেন রোদ্দুর রায় ওই ফেসবুক লাইভে। অপরদিকে অভিশেখের বাইক সফর নিয়েও কটা করে অশালীন ভাষায় কথা বলেন। আর এরপরেই স্বাভাবিকভাবেই চটে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে কেকে ইশ্যু নিয়ে রূপঙ্করকেও কথা বলতে ছাড়েননি তিনি। সেখানেও রাজ্য প্রশাসনের কথা এসেছে।

আরও পড়ুন, সামনে বোর্ডের পরীক্ষা, এভাবে কি কেউ দেখতে পারে 'বাবা'কে ? মেয়েকে নিয়ে চিন্তায় রূপঙ্করের স্ত্রী

আরও পড়ুন, সময়ের আগেই বর্ষা ঢুকল বাংলায়, কলকাতায় ঝড়-বৃষ্টি, প্রবল বর্ষণ দুই বঙ্গে

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কেকে-র অনুষ্ঠানের আগে তুমুল বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। গুরুদাস কলেজের টিএমসিপি ইউনিট এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেই অনুষ্ঠানের আয়োজন ঘিরে বিতর্ক। অনুষ্ঠানের পর কেকে-র অকাল প্রয়াণ, বিতর্কে ঘি ঢেলেছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এই মৃত্যুর দায় কার। অভিযোগ সেদিন, গুরুদাস কলেজের পড়ুয়ারা নয়, প্রচুর বহিরাগত পড়ুয়াও ভিড় করছিল। উল্লেখ্য, নজরুল মঞ্চের ভিতরে যতো মানুষ ধরে, মঙ্গলবার তার থেকে প্রায় ৩ গুণ বেশি দর্শক ছিল।নজরুল মঞ্চের ভিতরে ২৪৮৩ জনের জায়গা রয়েছে।

আরও পড়ুন, গুগল-ডুডলে সত্যেন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা, 'বোস' আজকের দিনেই আইনস্টাইনকে পাঠান কোয়ান্টামের বিখ্যাত তত্ত্ব

এদিকে  নজরুল মঞ্চের স্টাফরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার অডিটোরিয়ামের ভিতরে লাগাম ছাড়া ভিড় ছিল। গেটের বাইরে গতকাল এতটাই ভিড় হয় যে, তা সামলানোই দায় হয়ে ওঠে। বাধ্য হয়ে নজরুল মঞ্চের ৭ টা গেটই খুলে দেওয়া হয়।এদিকে তীব্র অস্বস্থি, গুমোট গরমের মাঝেই একের পর এক জনপ্রিয় গান গুলি গেয়ে যান কেকে। অনুষ্ঠান চলাকালীন একাধিকবার স্পট লাইট বন্ধ করার কথা বলেছিলেন। ঘেমে যান তিনি। অসুস্থ লাগছে বারবার  বলে  যান কেকে।  অনুষ্ঠান শেষ হবার তারপর কলকাতার নজরুল মঞ্চ থেকে নিয়ে যাওয়া হয় গ্র্যান্ড হোটেলে।সেখানে গিয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়েন। এরপরেই দ্রুত সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Read more Articles on
Share this article
click me!