সংক্ষিপ্ত

'হু ইজ কেকে', প্রশ্ন তুলেছিলেন রূপঙ্কর। গত কয়েক দিনে ওই কথাটাই ট্রেন্ড করছে। উত্তর দিয়েছে 'বাঙালি', উত্তর দিয়েছে কলকাতা। সবাই ওই হ্যাস ট্যাগেই, অশ্রাব্য গালাগাল ফেরাচ্ছেন গভীরে যাও-র গায়ককে।  'কেকে-টা কে', গত ৭২ ঘন্টায় রূপঙ্করকে সবাই বুঝিয়ে দিয়েছে বলেই দাবি বাংলার। খুনের হুমকি পর্যন্ত পেয়েছেন নাকি রূপঙ্কর। এবার কথা হচ্ছে, রূপঙ্করের উপর বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় , তার মেয়ের মনের উপরেও প্রভাব ফেলছে। এভাবে কি কেউ 'বাবা'কে দেখতে পারে,  সামনে যে তার বোর্ডের পরীক্ষা। কী হবে, মেয়ের কথা ভেবে গভীর চিন্তায় রূপঙ্করের স্ত্রী।

'হু ইজ কেকে', প্রশ্ন তুলেছিলেন রূপঙ্কর। গত কয়েক দিনে ওই কথাটাই ট্রেন্ড করছে। উত্তর দিয়েছে 'বাঙালি', উত্তর দিয়েছে কলকাতা। সবাই ওই হ্যাস ট্যাগেই, অশ্রাব্য গালাগাল ফেরাচ্ছেন গভীরে যাও-র গায়ককে।  'কেকে-টা কে', গত ৭২ ঘন্টায় রূপঙ্করকে সবাই বুঝিয়ে দিয়েছে বলেই দাবি বাংলার। রোদ্দুর রায় থেকে শুরু করে স্বস্তিকা কেউ যায়নি বাদ। কেকে-কে হারিয়ে একদিকে শোকস্তব্ধ কিংবদন্তির পরিবার। আর ঠিক যেনও তখনই উল্টোধারার স্রোত, নিজের শহরেই চরম লজ্জায়-অপমানে বিধ্বস্ত বাগচি পরিবার। খুনের হুমকি পর্যন্ত পেয়েছেন নাকি রূপঙ্কর। এবার কথা হচ্ছে, রূপঙ্করের উপর বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় , তার মেয়ের মনের উপরেও প্রভাব ফেলছে। এভাবে কি কেউ 'বাবা'কে দেখতে পারে,  সামনে যে তার বোর্ডের পরীক্ষা। কী হবে, মেয়ের কথা ভেবে গভীর চিন্তায় রূপঙ্করের স্ত্রী।

একটা খবরের পর আবার অন্য একটা খবর জায়গা নেয়। তবে গত কয়েকদিনে উঠতে বসতে রাজ্যে সবচেয়ে বেশি বিতর্কের ঝড় রূপঙ্করকে নিয়েই। যাদের নাম ফেসবুকে নিয়েছিলেন, তাঁদের কেউই রূপঙ্করের পাশে দাঁড়ায়নি। যারাই দাঁড়িয়েছে, তাঁদেরকেও ধুয়ে দেওয়া হয়েছে। নিজেরই শহরের কাছেই আজ অনেকটাই অসহায় রূপঙ্কর ও তাঁর গোটা পরিবার। তবে এত সবের মাঝে বাবাকে এই অবস্থায় দেখে শিশু মনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে রূপঙ্করের মেয়ের উপরে। বাইরের রাজ্যে শুটিংয়ে গেলে, সাধারণত বাবার ফেরার অপেক্ষায় থাকে সব সন্তানেরাই। এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। তবে বাবা তো ফিরে এল কলকাতায়। সঙ্গে এল অন্ধকারে ঢাকা একরাশ কালো মেঘ। যদিও বা গরমের ছুটিতে স্কুল বন্ধ। বাঁচোয়া, যে বন্ধুদের মাঝে যেতে হচ্ছে না। এদিকে সামনে তাঁর পরীক্ষা। এভাবে কী সত্যিই দেখা যায় বাবাকে। এই পরিস্থিতি মেয়েকে নিয়ে চিন্তায় চৈতালি ও রূপঙ্কর। তিনি বলেছেন, আমরা আসলে খুবই চিন্তায় আমাদের মেয়েকে নিয়ে। ওর এবার বোর্ডস পরীক্ষা। আমাদের চিন্তায় দেখে ও খুবই অস্থির।আসলে সবই তো সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে পাচ্ছে। বুঝতেই পারছেন, বাবাকে নিয়ে কীরকম অস্থির থাকতে পারে।এমনিতে আমরা বাড়ি থেকে বেরিয়েছি। দুদিন শুটিংও করেছি। কিন্তু সময়টা ভাল নয়। আমি জানি আপনারা আমাদের পাশে আছেন।'

আরও পড়ুন, 'রূপঙ্করদার কথায় আমি খুবই বিব্রত, কেকে-কে অকারণে ছোট করা ঠিক হয়নি', ক্ষুব্ধ ইমন

আরও পড়ুন, 'কেকে-কে ব্যাক্তি আক্রমণ করতে চায়নি রূপঙ্কর, ইমনদের পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল', মুখ খুললেন নচিকেতা

তবে বিতর্কের পর মুখ খুলেছেন রূপঙ্কর। ফিল্মি ফ্রাইডেতে, প্রেসক্লাবে রূপঙ্কর বলেছেন, 'প্রথমেই প্রয়াত কেকে-র পরিবারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমার যে ভিডিও-তে গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়া ও তার বাইরে, এত বিরামহীন উত্তেজনার উপাদান তৈরি হয়েছে, আমি ওইটা ফেসবুক থেকে ডিলিট করেছি। পরলোকগত গায়কের পরিবারের কারো সঙ্গেই আমার পরিচয় নেই। কিন্তু আপনাদের মাধ্যমেই আমি বারবার জানাচ্ছি, আমি দুঃখিত। কেকে আজ যেখানেই থাকুন, ওকে সেখানে ইশ্বর শান্তিতে রাখুন।আমার সঙ্গীত জীবনে এমন বিভীষিকার মুখোমুখী হতে হবে, তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি।' 

আরও পড়ুন, গুগল-ডুডলে সত্যেন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা, 'বোস' আজকের দিনেই আইনস্টাইনকে পাঠান কোয়ান্টামের বিখ্যাত তত্ত্ব