করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এবার করোনার সংক্রমণ খোদ কলকাতা বিমানবন্দরের বুকেই। সেখানকার এক সাফাইকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদিকে বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ওই একই দিনে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এক শীর্ষ কর্তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে করোনায়। একই সঙ্গে দুটি ঘটনায় আতঙ্কিত কর্মী মহল।
আরও পড়ুন, করোনায় মৃত্য়ু হলেও দেহ দেখতে পাবে পরিবার, নিয়মে বদল আনল রাজ্য সরকার
কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন,'যে সাফাইকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁর সঙ্গে একই শিফটে কাজ করা আরও ৪ জনকে আপাতত কাজে আসতে বারণ করা হয়েছে। সাফাইকর্মীদের বসার ঘরও জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে।' বিমানবন্দরের সাফাই এখন মূলত বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে করানো হয়। তার বাইরেও পুরনো কয়েক জন স্থায়ী সাফাইকর্মী থেকে গিয়েছেন। করোনা আক্রান্ত ওই কর্মী তাঁদেরই এক জন। এদিকে বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ওই একই দিনে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এক শীর্ষ কর্তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে করোনায়। পরপর এমন দুটি ঘটনায় আতঙ্কে কর্মী-মহল। দু টি ক্ষেত্রেই ওই সাফাইকর্মী এবং অফিসারের সংস্পর্শে আসা অন্য কর্মী ও অফিসারদের হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, কর্মী-অফিসারদের সংক্রমণ বাড়তে থাকলে ভর্বিষ্য়তে উড়ান পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে।
আরও পড়ুন, তাপমাত্রা-আদ্রতা বৃদ্ধিতে বাড়ছে অস্বস্তি, আগামী ২৪ ঘন্টায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাসে ভরসা
কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, অধিকাংশ কর্মী-অফিসারের বাড়ি কলকাতা বিমানবন্দরের আশপাশে। বিমানবন্দরের পাশেই কর্তৃপক্ষের কর্মী-অফিসারদের দু’টি আবাসন। তাঁদের অনেকেই যাতায়াতের সুবিধার কারণে কাছাকাছি ফ্ল্যাট কিনে বা ভাড়া নিয়ে থাকেন। বিমানবন্দর লাগোয়া পাঁচটি প্রধান পুরসভা। দমদম, দক্ষিণ দমদম, উত্তর দমদম, নিউ ব্যারাকপুর এবং বিধাননগরে কন্টেনমেন্ট জ়োন সবচেয়ে বেশি। কর্মী-অফিসারদের অনেকেই সেই সব এলাকা থেকে যাতায়াত করছেন। যার দরুন উপসর্গ না-থাকলেও তাঁদের অনেকের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকছে।