করোনায় মৃত্য়ু হলেও দেহ দেখতে পাবে পরিবার, নিয়মে বদল আনল রাজ্য সরকার

Published : Jun 06, 2020, 10:14 AM ISTUpdated : Jun 06, 2020, 11:34 AM IST
করোনায় মৃত্য়ু হলেও  দেহ দেখতে পাবে পরিবার,  নিয়মে  বদল আনল রাজ্য সরকার

সংক্ষিপ্ত

 করোনায় মৃত ব্যক্তির দেহ দেখতে পাবেন পরিজনেরা    মৃতের পরিবারকে মেনে চলতে হবে কিছু শর্ত   ধর্মীয় রীতিনীতিও পালন করা যেতে পারে    নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার   


করোনায় মৃত্য়ু হলে এতদিন মৃতের পরিবার শেষবারের মতো চোখের দেখাটাও দেখতে পারতেন না। ছোঁওয়াটা তো দূরের কথা। কারণ এই মারণ রোগ যেখানে সংস্পর্শে আসলে ঘোরতর শত্রু। তাই সংক্রমণের আশঙ্কায় মৃতের পরিবারকে কাছে আনা হত না। এদিকে মৃত্য়ুর আগেও আক্রান্তের সঙ্গে তেমন দেখা করার উপায় ছিল না। ভিডিও কলিং অথবা একেবারে সুস্থ হলে তবেই। তাই প্রিয়জনের পজিটিভ রিপোর্ট আসা মানেই সামাজিক দূরত্ব বাড়তে থাকা। আর এবার সেই যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দিতে  নবান্ন সূত্রে খবর, এবার থেকে  করোনায় মৃত ব্যক্তির দেহ দেখতে পাবেন তাঁদের পরিজনেরা। তবে  মেনে চলতে হবে একাধিক শর্ত। নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন, তাপমাত্রা-আদ্রতা বৃদ্ধিতে বাড়ছে অস্বস্তি, আগামী ২৪ ঘন্টায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাসে ভরসা

 নবান্ন সূত্রে খবর,  রাজ্য সরকারের তরফে  নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে যে,  এবার থেকে সৎকারের আগে করোনায় মৃত ব্যক্তির দেহ দেখতে পাবেন তাঁদের পরিজনেরা। তবে সেক্ষেত্রে মৃতের পরিবারকে মেনে চলতে হবে একাধিক শর্ত। এবার থেকে কোনও করোনা রোগীর মৃত্যু হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে প্রথমে পরিবারকে সে খবর জানাতে হবে। অপেক্ষা করতে হবে পরিবারের জন্য। মৃতের  পরিজনেরা হাসপাতালে এলে  ১০ থেকে ১২ ফুট দূরত্ব থেকে দেহ দেখাতে হবে। তাঁদের দেখানোর জন্য মৃতদেহের মুখ থেকে বুক পর্যন্ত স্বচ্ছ প্লাস্টিকের ব্যাগে মুড়ে রাখতে হবে। তবে ২ থেকে ৪ মিনিটের বেশি সময় দেহ দেখতে দেওয়া হবে না। দেহ স্পর্শ করতে পারবেন না পরিজনেরা।   বাংলার প্রত্যেক সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য।  

আরও পড়ুন, পর্যাপ্ত কিট এলেই র‍্যানডম চলবে, আপাতত আক্রান্তের পাশের বাড়িতেও করোনা পরীক্ষা করবে পুরসভা

প্রসঙ্গত বাংলার প্রথম করোনায় মৃত্যু হওয়ার পরই রাজ্য সরকার সৎকার নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছিল৷ নবান্নের বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, শেষকৃত্য যেন একেবারে নিয়ম মেনে পালন করা হয়। যাতে সৎকারের সময়ে জীবাণু না ছড়িয়ে পড়ে।মৃত ব্যাক্তির দেহ থেকে যেন সংক্রমণ না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ এরপরই স্বাস্থ্য দফতরের কর্তা ও কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে সতর্ক করেন তিনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ভারত সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিধি অনুযায়ী, মৃতদেহ সৎকারের সময় উপস্থিত থাকতে পারেন পরিজনেরা। সেক্ষেত্রে সবসময়ই দূরত্ববিধির কথা মাথায় রাখতে হবে। এছাড়াও ধর্মীয় রীতিনীতিও পালন করা যেতে পারে। তবে কোনওভাবেই দেহ ছুঁতে দেওয়া যাবে না।  যাঁরা মৃতদেহ সৎকারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাঁদের যথোপযুক্ত সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে হবে। তাঁদের পরতে হবে জল আটকাতে সমর্থ অ্যাপ্রন, হাতে গ্লাভস এবং মুখে মাস্ক। এছাড়াও তাঁদের পরতে হবে চশমা। সৎকারের কাজ মেটার পর খুব ভাল করে হাত ধুতে হবে। সৎকার শেষে করোনায় মৃত ব্যক্তির চিতাভস্ম নিতে পারবেন তাঁর পরিজনেরা। 
 

 

 পিটিএসে নতুন করে আক্রান্ত আরও ৮, করোনা মুক্ত হয়ে কাজে ফিরলেন ১০০ পুলিশ কর্মী

বাংলাদেশ ফেরৎ ২ যাত্রী করোনা পজিটিভ, কোয়ারান্টিনের পর আক্রান্ত হওয়ায় চিন্তায় স্বাস্থ্য দফতর

 কলকাতা মেডিক্যালের ছাদের কার্নিশে বসে করোনা রোগী, সামলাতে গিয়ে নাজেহাল কর্তৃপক্ষ

করোনা মোকাবিলায় বড়সড় উদ্য়োগ, পরিষেবা বাড়াতে ৫০০ ডাক্তার-নার্স নিচ্ছে রাজ্য

দেহ রাখার জায়গা না থাকায় ডিপ ফ্রিজ বসছে মেডিকেলের মর্গে, মৃতদেহ 'ম্যানেজমেন্ট'-এ নিয়োগ অ্যাসিস্ট্যান্ট

PREV
click me!

Recommended Stories

বিধানসভায় প্রবেশ ইস্যুতে উত্তপ্ত শুভেন্দু বনাম রাজ্যের সঙ্ঘাত, মামলা গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে
News Round Up: বঙ্গে জাঁকিয়ে ঠান্ডা থেকে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন অজি পেশার, সারাদিনের খবর এক ক্লিকে