কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে রাজ্যের কাছে জবাব তলব কেন্দ্রের। মূলত ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের পর সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার ভুয়ো ভ্য়াকসিনকাণ্ডে পুরো ঘটনার রিপোর্ট তলব করে রাজ্য়কে চিঠি দিল কেন্দ্র। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে চিঠি এসেছে মুখ্যসচিবের কাছে। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এই চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গাফিলতি কার ? দুই দিনের মধ্য়েই চাই রিপোর্ট
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ স্পষ্ট জানিয়েছেন, কো-উইন পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন ছাড়াও কখনও টিকাকরণ হওয়া উচিত নয়। টিকা নেওয়ার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের ওই পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করতে হয় এবং টিকাকরণের পর আসে একটি সার্টিফিকেট। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে কিনা, এবিষয়েও নজর দিতে হবে। রাজ্য সরকারকে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর নজরদারি চালাতে হবে। সার্টিফিকেট না মিললে সেই ক্য়াম্প ভুয়ো হতে পারে, এছাড়াও ভ্য়াকসিনের নামে যা দেওয়া হচ্ছে সেটাও আসল টিকা না হতে পারে। রাজ্য সরকারের গাফিলতিতে সেই সব ভুয়ো ক্যাম্পের বাড়বাড়ন্ত বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্য সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। দুই দিনের মধ্য়েই এই চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ভুয়ো ভ্য়াকসিনে ঝুলে প্রতারিতদের ভাগ্য
উল্লেখ্য, কলকাতায় কয়েশো মানুষকে ভুয়ো ভ্যাকসিন দিয়েছেন দেবাঞ্জন দেব। অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও প্রতারণার শিকার। মূলত ঘটনাটির পর্দা ফাঁস হয় মিমির হাত ধরেই। এদিকে তারপরই প্রকাশ্যে বেরিয়ে পড়ে ধৃত দেবাঞ্জনের সঙ্গে শাসকদলের শীর্ষ নের্তৃত্বের ছবি। তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। এদিকে ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে শহরের কয়েশো মানুষ। কলকাতা পুলিশের হাত ধরে একের পর এক দেবাঞ্জনের জালিয়াতির রহস্য ফাঁস হয়। ফিরহাদ হাকিমের উদ্ধোধন করা অনুষ্ঠানে শহরের পাথরের ফলকে দেখা যায় ধৃত দেবাঞ্জনের নাম। রাতারাতি তারপর ফলক থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় নাম। এরপরেই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে চিঠি দেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রতিবাদে নেমেছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ বামেরাও। যদিও পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় পরে প্রতিরিত রোগীদের যাবতীয় শারীরিক অবস্থার দিকে খেয়াল রাখতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম গঠন করেছেন।
ভুয়ো IAS দেবাঞ্জনের পর পুলিশের জালে ভুয়ো সাদিক, বেনিয়াপুকুর
এদিকে ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জনের কাণ্ডের তদন্ত চলাকালীনই ধৃত আরও ১। পর্দাফাঁস শহরে ফের নীলবাতি লাগানো আরও এক জালিয়াতির হদিশ মিলেছে। বেনিয়াপুকুর থেকে গ্রেফতার মহম্মদ সাদিক নামে এক যুবক। ধৃত নিজেকে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স অফিসার বলে দাবি করেন। পরে কাগজপত্র কিছুই সে দেখাতে পারেনি। ধরা পড়ে তাঁর জালিয়াতি। গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস