দীর্ঘ ২ বছর বন্ধ থাকার পর ফের রবিবার থেকে ভারত-বাংলাদেশে বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু। এদিন বন্ধন ও মৈত্রী এক্সপ্রেসের চলাচলে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত।
দীর্ঘ ২ বছর বন্ধ থাকার পর ফের রবিবার থেকে ভারত-বাংলাদেশে বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু। এদিন সকাল ৭ টা ১০ নাগাদ কলকাতা স্টেশন থেকে রওনা দিল ভারত-বাংলাদেশে বন্ধন এক্সপ্রেস। তবে বন্ধন এক্সপ্রেসের প্রথম দিনে যাত্রী সংখ্যা খুব একটা বেশি ছিল না। তবে আটোসাটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। অপরদিকে এদিন মৈত্রী এক্সপ্রেস ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশন থেকে ১৬৫ জন যাত্রী নিয়ে সকাল সোয়া ৮ নাগাদ কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
প্রসঙ্গত, গত ২ বছর মহামারি করোনা সংক্রমণের কারণে ভারত-বাংলাদেশে বন্ধন ও মৈত্রী এক্সপ্রেস দুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে শুধু ট্রেন নয়, বাস-সহ সকল যোগাযোগ স্থগিত রেখেছিল কেন্দ্রিয় সরকার৷ নোটিশ জারি হয়েছিল, উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্তের স্থলপথ দিয়ে কোনও যাত্রীকে যাতায়াত করতে দেওয়া হবে না৷ তখন সবে প্রথম কোভিড বর্ষ। মার্চ মাস। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ৮০ ছাড়িয়েছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তখন প্রাণ হারিয়েছেন দুই ভারতীয়। অপরদিকে বাংলাদেশে তিনজনের দেহে করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রিয় সরকার করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গেও বাস ও ট্রেন যোগাযোগ স্থগিত রেখেছে। বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে যারা ভারতে এসেছিলেন,তাদের অবশ্য বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় সরকার। অপরদিকে বাংলাদেশও সেই সময় ভারতের সঙ্গে সড়ক, নৌ এবং রেল পরিষেবা বন্ধ করে দেয়৷ এদিকে ততদিনে বাংলাদেশের অবস্থা শুরুতেই কাহিল ছিল। ওই মার্চ মাসেই বাংলাদেশের ২০ জেলায় ৯৬৩ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কোনও ঝুঁকি না নিয়ে কুড়ির ১৩ মার্চ বিকেলের পর থেকে সাধারণ যাত্রীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় পেট্রাপোল সীমান্তের স্থল বন্দর।
অপরদিকে ১ জুন থেকে চালু হচ্ছে শিলিগুড়ি -ঢাকা রুটে মিতালি এক্সপ্রেস।ওই দিন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে ট্রেনের সূচনা করবেন, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী মহম্মদ নরুল ইসলাম দুজনেই। তবে এদিন দীর্ঘ দুই বছর পর বন্ধন ও মৈত্রী এক্সপ্রেসের চলাচলে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত। উৎসাহ দেখা গিয়েছে কলকাতা রেল কর্তৃপক্ষের তরফেও। ইমিগ্রেশন, নিরাপত্তা রক্ষীদের তৎপরতা, ডগ স্কোয়াডও ছিল চোখে পড়ার মতো। অবশেষে এদিন সকাল ৭ টা ১০ মিনিটে ৯ জন বাংলাদেশি, এবং ১০ জন ভারতীয় সহ মোট ১৯ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতা স্টেশন থেকে ১০ বগির বন্ধন এক্সপ্রেস ছাড়ে। খুশি ঝলক দেখা যায় জানালা দিয়ে মুখ বার করা চোখগুলিতে।