সোমবার কলকাতা থেকে যাত্রা শুরু করল 'আইএনএস হিমগিরি'। এটি ভারতীয় নৌবাহিনীর নীলগিরি শ্রেণির একটি ফ্রিগেট। ভারতের তৈরি এটি প্রথম বড় যুদ্ধ জাহাজ। আর সেই কারণেই পর্বত শৃঙ্গের নাম অনুসারে এই জাতীয় যুদ্ধ জাহাজের নামকরণ করেছে ভারত। বাকি যুদ্ধ জাহাজগুলির নাম হল, আইএনএস উদয়গিরি, আইনএস দুনগিরি ইত্যাদি। এই জাতীয় মোট সাতটি যুদ্ধ জাহাজ তৈরি করেছে ভারত। আইএনএস হিমগিরি যাত্রা শুরুর সময় কলকাতার গার্ডেনরিচে উপস্থিত ছিলেন চিফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত। জলযুদ্ধে এজাতীয় যুদ্ধ জাহাজ ভারতের শক্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন সেনা প্রধান। হিমগিরির উদ্বোধনের আগেই তিনি একযোগে চিন আর পাকিস্তানকে নিশানা করেন। তিনি বলেন সব রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি রয়েছে ভারত।
আনএনএস হিমগিরির বৈশিষ্ঠ্য
নতুন প্রযন্মের এই যুদ্ধ জাহাজ তৈরি হয়েছে সম্পূর্ণ ইস্তাপ দিয়ে। উন্নত রোল স্থিতিশীলতা ও তার সুন্দর দৃশ্যমানতা প্রতিপক্ষের হৃদকম্পন বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম। এই জাতীয় জাহাজগুলিতে অত্যাধুনিক অস্ত্র স্টিস্টেম ও সেন্সর রয়েছে। আগের যুদ্ধ জাহাজের বিচ্যুতিগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন এই যুদ্ধ জাহাজগুলি তৈরি করা হয়েছে। সেনা সূত্রে খবর এই জাতীয় যুদ্ধ জাহাজগুলি অরাপেশন ব্যায় ২০ শতাংশ কমিয়ে দিতে সক্ষম।
আন্দোলন মঞ্চ থেকেই মেয়ে জন্মদিন পালন কৃষককের, অমিত শাহর বাড়ি গেলেন কৃষি মন্ত্রী
কলকাতায় বসে চিন আর পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি বিপিন রাওয়াতের, বললেন প্রস্তুত রয়েছে ভারত ...
অস্ত্র
পি ১৭ও শ্রিণিটি বিমান, হেলিকপ্টার, অ্যান্টি শিপ ক্ষেপনাস্ত্র সহ যেকোনও ধরনের বায়ু চালিত অস্ত্র ব্যবহার করতে সক্ষম। এটি জাহাজ ব্রহ্মস, ব্যালাস্টিক মিসাইল, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে। ব়্যাডার ব্যবহার করতে সক্ষম এজাতীয় যুদ্ধ জাহাজগুলি।
ব্যয়
২০১৭ সালে প্রথম জাহাজটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। ২০২২ সালে ৪৫,০০০ কোটি টাকার ব্যয়ে ৭টি জাহাজ তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিটি জাহাজ তৈরি করতে ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।