গড়িয়াহাটে বৃদ্ধা খুনে উঠে এল চাঞ্চল্য়কর তথ্য়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, এই খুনের ঘটনায় জড়িত রয়েছে পরিচিত কেউ। পুলিসের নজরে এখন বৃদ্ধার ছেলে ও ঘনিষ্ঠরা। প্রাক্তন এক পরিচারিকার বয়ান ও তদন্তের সূত্রে পুলিসের কাছে নতুন তথ্য় উঠে এসেছে। ওই বৃদ্ধার গড়চা রোডের বাড়িতে থাকা নিয়ে প্রায়ই তাঁর ছোট ছেলের সঙ্গে অশান্তি চলত। তাঁর পরিবারের আর কয়েকজনকেও সন্দেহের তালিকায় রেখেছে পুলিস।
আরও পড়ুন, দীঘার সমুদ্রে আর যাওয়া হল না, পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন এক পর্যটক
বৃহস্পতিবার সকাল বেলায় প্রতিবেশীরা ডাকতে গেলে দেখে বৃদ্ধার গলার নলি কাটা পেট কাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। প্রতিবেশীদের থেকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। লালবাজার হোমিসাইড শাখার তরফ থেকেও রিপোর্ট নেওয়া হয়। এছাড়া ঘটনাস্থলে আসেন জয়েন সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মা । তাই পুলিশি তদন্তের পর সামনে এল নতুন তথ্য়। পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধাকে শ্বাস রোধ করার পর মৃত্য়ু নিশ্চিত করার পর তাঁকে একাধিকবার কোপানো হয়। তখনও তাঁর হৃদপিন্ড সচল ছিল। মৃত্যু নিশ্চিত করতে তলপেট আড়াআড়িভাবে চিরে দেওয়া হয়। তারপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে ধড় থেকে মাথা আলাদা করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরেই শীত ঢুকতে বাধা পাচ্ছে, শহরের আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা
প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাস্থল দেখে পুলিস প্রায় নিশ্চিত, খুনের পর ঘটনাস্থলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে আততায়ীরা। এছাড়াও উঠে এসেছে আরও তথ্য়। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, গতকাল সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ এক মহিলা বাড়িতে ঢোকেন। পরে সকাল নটা নাগাদও এক যুবক গড়চা রোডের বাড়িতে আসেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তাহলে বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় কে জড়িয়ে আছে, কী কারণই বা লুকিয়ে আছে তার পিছনে, সে বিষয়ে কথা বলছে ওই বৃদ্ধার বড় ছেলে এবং মেয়ের সঙ্গে।