শহরে ফের আক্রান্ত কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট। পথ-কুকুরের সঙ্গে তার বাইকের ধাক্কা লাগতেই উত্তেজিত জনতার কাছে শিকার হন যাদবপুর ট্রাফিক সার্জেন্ট।
শহরে ফের আক্রান্ত কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট (Kolkata Police Traffic sergeant) । গোড়খাড়া লাঙড়পাড়া এলাকায় আক্রান্ত কলকাতা পুলিশের রাজা রায় নামের ওই সার্জেন্ট। দশমীর রাতে ডিউটি সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথ-কুকুরের সঙ্গে তার বাইকের ধাক্কা লাগতেই উত্তেজিত জনতার কাছে শিকার হন তিনি। ( Jadavpur Traffic Sergeant )যাদবপুর ট্রাফিক সার্জেন্টকে বেধড়ক মারধর করে স্থানীয়রা।
পুলিশ সূত্রে খবর, বর্তমানে যাদবপুর ট্রাফিক গার্ডে কর্মরত রাজা রায় নামের ওই সার্জেন্ট।। দশমীর রাতে ডিউটি সেরে যাদবপুর থেকে সোজা বাড়ি ফিরছিলেন রাজা রায়। তাঁর বাড়ি সোনারপুরের সোনাঝিল এলাকায়। ফেরার সময় আচামকাই একটা কুকুর তাঁর বাইকের সামনে চলে আসে। ঘটনাটা এতটাই দ্রুত হয় যে ব্রেক দিয়ে থামনোর বাইক থামনোর আগেই নিজেই রাস্তায় পড়ে যান তিনি। এবং ওই কুকুরটিও ধাক্কা লাগে। এরপরেই ঘটনার মোড় ঘোরে। রাস্তার পাশে সিদ্ধেশ্বরী দোকানের সামনে কয়েকজন মদ খাচ্ছিলেন । তাঁরা এসে মারতে শুরু করেন। মোট ৫ থেকে ৬ জন মিলে মারধর করে। হেলমেট দিয়েও মারে। হাতে, বুকে, মুখে, গলায় আঘাত পেয়েছেন তিনি। রাস্তায় বাঁচাও বাঁচাও করে চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি।
আরও পড়ুন, Murder Case: পরকীয়ায় মত্ত হয়ে স্বামীকে গলা টিপে খুন ভাঙড়ে, ধৃত স্ত্রী
এরপর নিজেই কিছুটা দৌড়ে ও একটি রিক্সোয় ওঠে সোনারপুর থানায় যান। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে কার্তিক ঘোষ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। সম্প্রতি, উল্টোডাঙায় বেপরোয়া গাড়ি দাঁড় করাতে গিয়ে কলকাতা পুলিশ এক সার্জেন্টের প্রাণ হারানোর সম্ভবনা তৈরি হয়। বেপরোয়া ওই গাড়িটি ট্রাফিক সার্জেন্টকে পিষে মারার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। বেপরোয়া ওই গাড়ি ধাক্কায় গুরুতর জখম হন কলকাতা পুলিশের এক ট্রাফিক সার্জেন্ট। এমনকি তাঁকে পিষে দেওয়ার চেষ্টা করে চালক ও তার সঙ্গী। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর কাঁধ ও শরীরের অন্যান্য অংশের হাড় ভেঙে গিয়েছে। বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়। এই ঘটনাগুলি ক্রমশ ট্রাফিক সার্জেন্টদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে