ভোট হোক হাওড়া-বালি পুরসভার বিভাজন, একাধিক ইস্যুতে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত লেগেই রয়েছে। এরই মধ্যে রাজ্যপালকে বলতে শোনা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আরও ভাবা উচিত।
পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর(Central Force in Municipal Polls) দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে গেরুয়া শিবির। এদিকে বিজেপির(BJP) দাবি নিয়ে ইতমধ্যেই তীব্র চাপানউতর তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তোপ দাগতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতারা। বুধবারই এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে একহাত নিতে দেখা যায় কলকাতার মেয়র তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিমকে(TMC Leader Firhad Hakim)। তার দাবি ভোট করানোর জন্য, রাজ্য পুলিশই যথেষ্ট। একথা প্রমাণ হয়েছে অতীতেও। অহেতুক আধা সেনাকে ডেকে জটিলতা বাড়াতে চাইছে পদ্ম শিবির। এমতাবস্খায় এবার কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়ায় রাজ্যপালকে (Governor Jagdeep Dhankar) নিশানা করতে দেখা গেল তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Kalyan Banerjee)।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভোট হোক হাওড়া-বালি পুরসভার বিভাজন, একাধিক ইস্যুতে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত লেগেই রয়েছে। এরই মধ্যে রাজ্যপালকে বলতে শোনা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আরও ভাবা উচিত। একটি টুইট বার্তায় ধনকড় লেখেন, "কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত।'' তাঁর এই টুইটের পরেই ফের জোরদার চর্চা শুরু হয়ে যায় শাসক শিবিরের অন্দরেও। অনেকেই বলতে থাকেন কার্যত কেন্দ্রের তোতাপাখিতে পরিণত হয়েছে খোদ রাজ্যপাল। এমনকী রাজ্যপালের আসনটিরও অবমাননা করছেন ধনকড়। এই প্রসঙ্গেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিক্রিয়ায় রাজ্যপালকে নিশানা করে বলেন, “কলকাতা পুরভোটের (Kolkata Municipal Corporation) Election) জন্য আপনি কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছেন? এবার আপনার ক্ষমতার সীমারেখাটা বোঝা দরকার।” এই প্রসঙ্গে একটি টুইটও করতে দেখা যায় তৃণমূল সাংসদকে।
আরও পড়ুন- নজরে মুখ্যমন্ত্রীর মুর্শিদাবাদ সফর, ৫০টির বেশি প্রকল্পের উদ্বোধন মমতার
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজভবনকে স্পষ্টতই জানায়, কলকাতা পুরভোটে আপাতত দরকার নেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর। রাজ্য প্রশাসন যে নিরাপত্তা দিচ্ছে তাই যথেষ্ট। এমনকী রাজ্যে পুলিশও যেভাবে সহযোগিতা করছে তাতে শান্তিতেই বোট পর্ব মিটতে পারে। রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশ একযোগে কাজ করলে সমস্ত সমস্যারই মোকাবিলা করা সম্ভব। যদিও কমিশনের বক্তব্যে যে রাজ্যপাল বিশেষ সন্তুষ্ট হননি তা সহজেই অনুমেয়। পরবর্তীতে তাঁর টুইটের পরেই জটিলতা আরও বাড়তে থাকে। তবে রাজ্যপালের পক্ষে বা বিপক্ষে দাঁড়িয়ে এখনও সরাসরি মুখ খুলতে দেখা যায়নবি পদ্ম নেতাদের। আগামীতে এই ইস্যুতে তারা কী অবস্থান নেন এখন সেটাই দেখার। এদিকে আগামী ১৯ তারিখ ভোটের ময়দানে নামতে চলছে কলকাতা। ফের নিজেদের নাগরিকত্বের অধিকার ফলাতে চলেছএ তিলোত্তমাবাসী।