জেলের আধিকারিককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের পর এবার বিচারককেও ছাড়ল না সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গি মুসা। মঙ্গলবার কলকাতা নগর দায়রা আদালতের এজলাসে বিচারককে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। যদিও আইনজীবীর গায়ে লাগে সেই জুতো। ঘটনার পর থেকেই আদালত চত্বরে আঁটোসাটো করা হয়েছে নিরাপত্তা।
রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে বিজেপি, আগে ইউপি দেখুন বললেন পার্থ
খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত হিসাবে তার নাম উঠে এসেছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, ইসলামিক স্টেটের জঙ্গি খাতায় নাম রয়েছে মুসার। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গি মুসাকে মামলার শুনানির জন্য কলকাতা নগর দায়রা আদালতকে নিয়ে আসে নিরাপত্তারক্ষীরা। মামলার শুনানি শুরু হতেই আদালতে চিৎকার শুরু করে দেয় মুসা। বিচারককে কটূক্তি করে মুসা বলে, আমার বিচার করার অধিকার আপনার নেই। এই কথা বলামাত্রই বিচারককে লক্ষ্য় করে উড়ে আসে জুতো।
ফ্র্যাকচার পা নিয়েই হাসপাতালের বেডে খোশ মেজাজে গায়ক, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই পোস্ট করলেন ছবি
২০১৩ সালের অক্টোবরে বর্ধমানের খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণের পর থেকেই মুসার খোঁজ শুরু করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ২০১৭-র জুলাইতে গোয়ন্দাদের হাতে আসে সে। প্রথমে সিআইডি-র হেফাজতে থাকলেও পরে এনআইএ নিজদের হেফাজতে নেয় মুসাকে। পরে তাকে আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানে গিয়েও তাণ্ডব থামেনি তার।
বইমেলায় পকেটমারদের দাপাদাপি, একদিনেই পুলিশের জালে ছয়
অভিযাগ, সংশোধনাগারে থাকাকালীন জেলের আধিকারিকের গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ দেয় সে। কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচেন সেই আধিকারিক। পরে জানা যায়, বাইরে থেকে অস্ত্র না এনে চামচকেই ধার দিয়ে অস্ত্র করে তুলেছিল সে। এরপরই মুসাকে প্রেসিডেন্সি জেলে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু সেখানে গিয়েও ওয়ার্ডেন অমল কর্মকারকে পাইপ দিয়ে মারধর করে সে। যার জেরে আধিকারিকের মাথা ফেটে যায়। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এই ঘটনায় হেস্টিংস থানায় অভিযোগ দায়ের করে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। এতকিছুর মধ্য়ে নতুন করে তার নামে জুড়ল জুতো ছোড়া কাণ্ড।