কেকে-র ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। গ্র্যান্ড হোটেলে কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলিধর শর্মা এবং ডিসি সেন্ট্রাল রুপেশ কুমার। গ্র্যান্ড হোটেলের শিফট ম্যানেজার, হোটেল কর্মী , প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বললেন পুলিশ আধিকারিকরা।
গ্র্যান্ড হোটেলে কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলিধর শর্মা এবং ডিসি সেন্ট্রাল রুপেশ কুমার। গ্র্যান্ড হোটেলের শিফট ম্যানেজার, হোটেল কর্মী , প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বললেন পুলিশ আধিকারিকরা। হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিছুক্ষণ আগেই পৌছেছে গোয়েন্দা বিভাগের সায়েন্টিফিক উইং। কেকে-র মৃত্য়ুতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে নিউমার্কেট থানায়। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা কারণে বুধবার সকালেই এসএসকেম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্ত শেষও হয়ে গিয়েছে।
গ্র্যান্ড হোটেলে কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি ক্রাইম এবং ডিসি সেন্ট্রাল, কেকে-র বিষয়ে আদৌ কতটা খবর রেখেছে গ্র্যান্ড ?
এদিকে কেকে-র মৃত্য়ুতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা কারণে বুধবার সকালেই এসএসকেম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, কেকে-র শরীরে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। ঠোঁটে এবং কপালে দাগ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সূত্রের খবর, গ্র্যান্ড হোটেল পড়ে গিয়েই চোট পেয়েছিলেন কেকে। তবে প্রকৃত কারণ জানতেই ময়নাতদন্ত করা হয়। তবে এই বিষয় নিয়ে আদৌ কতটা খবর রেখেছে গ্র্যান্ড হোটেল কর্তৃপক্ষ। এখবর জানেন কি গ্র্যান্ড হোটেলের শিফট ম্যানেজার, হোটেল কর্মীরা। যখন এই ঘটনা ঘটেছিল, তখন সেখানে কি কেউ উপস্থিত ছিলেন, সেই প্রত্যক্ষদর্শী-সহ গ্র্যান্ড হোটেলের শিফট ম্যানেজার, হোটেল কর্মীদের থেকে যাবতীয় তথ্য নিয়ে প্রশ্ন করতে পারে পুলিশ আধিকারিকরা। পাশাপাশি নজরুল মঞ্চ থেকে ফিরে আসার পর গ্র্যান্ড হোটেলে ঢুকে ঠিক কী হয়েছিল, তাও জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসতে পারে।
কেকে-র ময়নাতদন্ত শেষ, মরদেহ যাবে এবার বিমান বন্দরে
তবে ইতিমধ্যেই এসএসকেম হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে, স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে গায়কের। তবে চূড়ান্ত রিপোর্ট বাহাত্তক ঘন্টা পর জানা যাবে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, হৃদরোগজনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে গায়কের। তারা জানিয়েছেন হৃদপিন্ডের কাজ আচমকা বন্ধ হওয়ায় মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়। এবং তার জেরেই মৃত্যু বলে মনে করা হচ্ছে। এবং এই কারণেই হোটেলের ঘরে পড়ে গিয়েছিলেন। এমনকী প্রেক্ষাগৃহের মধ্যেও কেকে-র শরীরে যে ধরনের অস্বস্তি হচ্ছিল সেগুলি সবই হৃদরোগের উপসর্গ ছিল। তাই এখন পর্যন্ত হৃদরোগকেই মৃত্যুর কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এদিনই এসে পৌছন কেকে-র পরিবার। কেকে-র স্ত্রী ও পুত্র উপস্থিতিতেই করা হয় ময়না তদন্ত। কেকে-র মরদেহ যাবে এবার বিমান বন্দরে।
আরও পড়ুন, 'পেয়ার কে পল'-সহ মোট ২০ টি গান, নজরুল মঞ্চে শেষ গানের কথা মিলিয়েই চিরঘুমের দেশে কেকে