১২ শতাংশের মতো ভোট গিয়েছে বামেদের ঝুলিতে। আসনের নিরিখে বামেদের থেকে এগিয়ে থাকলেও প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে বামেদের থেকে পিছিয়েই রয়েছে বিজেপি। সুকান্ত-দিলীপদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গোটা শহর থেকে মাত্র ন'শতাংশের মতো ভোট পেয়েছে বিজেপি।
এক্সটি পোলের(Exit Poll) পূর্বাভাসকে সত্যি করেই কলকাতা পৌরসভায়(Kolkata Municipality) বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ফের ক্ষমতায় ফিরছে তৃণমূল কংগ্রেস। ১৪৪টি আসনের মধ্যে ১৩৪টিই গিয়েছে তৃণমূলের দখলে। বিরোধীরা কোনোরকম খাতা খুলে নিজেদের মুখ রক্ষা করেছে। এদিকে এবারের ভোটে বিরোধী শিবিরের থেকে শাসক শিবিরেই সবথেকে বেশি হেভিওয়েট মুখ দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। এমনকী নেতা মন্ত্রীদের সন্তান-সন্ততিদেরও এবারে পুরযুদ্ধের ময়দানে(KMC Election) দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। ময়দানে দেখা গিয়েছিল বিদায়ী বোর্ডের ১৩ জন মেয়র পারিষদকে। জমিতেছেন সকলেই। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেবাশিষ কুমার, তারক সিংহ, দেবব্রত মজুমদার, রাম পেয়ারি রাম। মাঠে নেমেছিলেন পাঁচজন বিধায়ক(MLA) এবং একজন সাংসদও(MP)। তারাও জমিতেছেন রেকর্ড ভোটের ব্যবধানে।
বিদায়ী মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, চেয়ারপার্সন মালা রায়-সহ অধিকাংশ হেভিওয়েটকেই টিকিট দিয়েছিল শাসকদল। ফিরহাদ হাকিম জিতেছেন প্রায় ১৫ হাজার ভোটে। অতীন ঘোষ (Atin Ghosh) জিতেছেন ১০ হাজার ৭৬৫ জন। মালা রায়ের ৮৮ নং ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা কম। তাতেও তিনি জয়ী হয়েছেন বিরাট ব্যবধানে। সাংসদ মালা রায় এই নিয়ে টানা ষষ্ঠবার পুরভোটে জিতলেন। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৬,৪৯৩ ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়(Trinamool candidate Kajari Banerjee)। তিনি আবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের(Trinamool supremo Mamata Banerjee) ভ্রাতৃবধূ। অন্যদিকে তৃণমূলের অন্যান্য হেভিওয়েটদের মধ্যে ১৩১ নং ওয়ার্ডে লড়েছিলেন শোভন পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়(Ratna Chatterjee)। তিনি জিতেছেন ১০ হাজারের বেশি ভোটে।
আরও পড়ুন-মমতা ঝড়ে ম্লান সূর্য-সুকান্ত, ঘাসফুলমুখী শহরে কোন কোন ওয়ার্ডে শেষ হাসি বিরোধীদের
অন্যদিকে দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস কুমার (Debashis Kumar) ৮৫ নং ওয়ার্ডে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনও জিতেছেন প্রায় ১০ হাজার ভোটে। বিদায়ী মেয়র পারিষদ তারক সিং ৮ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন বলে দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার ৯ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন। ৯৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিপুল ভোটের ব্যবধানে ঘাসফুল শিবির থেকে জমিতেছেন ক্ষিতি কন্যা বসুন্ধরা গোস্বামী। অন্যদিকে ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে বড় জয় এসেছে বিশ্বরূপ দের। তবে ৬৫ টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে আছে বামেরা। ১২ শতাংশের মতো ভোট গিয়েছে বামেদের ঝুলিতে। আসনের নিরিখে বামেদের থেকে এগিয়ে থাকলেও প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে বামেদের থেকে পিছিয়েই রয়েছে বিজেপি। সুকান্ত-দিলীপদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গোটা শহর থেকে মাত্র ন'শতাংশের মতো ভোট পেয়েছে বিজেপি।