রাজ্য়ে করোনায় মৃতদের দাহ হবে ধাপায়-কবর বাগমারিতে, জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম

  • করোনায় মৃতের দেহ নিয়ে তুলকালাম বেধেছিল নিমতলা শ্মশানঘাটে 
  • যেটা সামলাতে গিয়ে  পুলিশকে দফায় দফায় লাঠিচার্জও করতে হয়েছে 
  •  এই পরিস্থিতিতে করোনা রুখতে বড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পৌরসভা 
  • রাজ্য়ে করোনায় মৃতদের দাহ হবে ধাপায়, কবর দেওয়া হবে বাগমারিতে 

Ritam Talukder | Published : Mar 25, 2020 7:31 AM IST


 রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের দেহ সৎকার করতে গিয়ে তুলকালাম বেধেছিল নিমতলা শ্মশানঘাটে। স্থানীয় বাসিন্দারা শ্মশানের গেট আটকে দেহটি দাহ করতে দিতে বাধা দেন। ফলে গভীর রাত পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত দমদমের ওই প্রৌঢ়ের মৃতদেহ সৎকার করতে কালঘাম ছুটে যায় পুলিশ প্রশাসনের। এই পরিস্থিতিতে বড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পৌরসভা। যদি করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে কারও মৃত্যু হয় তবে তাঁকে দাহ করা হবে ধাপার নির্দিষ্ট এলাকায় এবং পাশাপাশি কবর দেওয়ার জন্যও নির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করল কলকাতা পৌরসভা। 

আরও পড়ুন, করোনা মোকাবিলায় ৫০ লক্ষ খরচের প্রস্তাব, একাই জেলাশাসকের দপ্তরে হাজির বিজেপি সাংসদ


রাজ্য়েপ প্রথম আক্রান্ত ঘিরে তুলকালাম বেধেছিল নিমতলা শ্মশানঘাটে। যার জেরে  পুলিশকে দফায় দফায় লাঠিচার্জও করতে হয়েছে। করোনা আক্রান্তের দেহ সৎকার করতে গেলে প্রথমে প্রবল বাধার সামনে পড়তে হয় পুলিশকে। পরে পুলিশি প্রহরায় রাত পৌনে ১২টা নাগাদ পুরনো শ্মশানের ভিআইপি চুল্লিতে ওই ব্যক্তির দেহ ঢোকানো হয়। পৌরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, দাহকার্য শেষ হলে রাত ১টা থেকে সাড়ে ৩টে পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টা ধরে ওই বৈদ্যুতিক চুল্লির পাশাপাশি পুরো ভবনটি জীবাণুমুক্ত করা হয়। জানা গিয়েছে, সোমবারের গোলমালে যুক্ত থাকার অভিযোগে, পুলিশ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। তারা সকলেই নিমতলা ঘাট স্ট্রিট বস্তির বাসিন্দা। উল্লেখ্য়, একই ঘটনা ঘটেছিল রাজধানী দিল্লিতেও। সেখানেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত একজনের দেহ সৎকারে বাধা পেতে হয়েছিল পরিবার ও প্রশাসনকে। তাই এবার যদি করোনা আক্রান্ত হয়ে  কারও মৃত্যু হয় রাজ্যে, তাহলে তাঁকে দাহ করা হবে ধাপার নির্দিষ্ট এলাকায়। পাশাপাশি কবর দেওয়ার জন্যও নির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করল কলকাতা পৌরসভা। 

আরও পড়ুন, করোনার আশঙ্কায় আগাম বন্দোবস্ত, বিয়েবাড়ি,স্টেডিয়াম নেওয়ার নির্দেশ মমতার

এবিষয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় রাজ্যব্যাপী লকডাউন করেছেন। শীঘ্রই তার সুফল পাব। আশা করছি আর কোনও মৃত্যু হবে না। তবুও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এরপর করোনায় যদি কারও মৃত্যু হয় তাহলে ধাপায় সৎকার করা হবে। কাউকে যদি কবর দিতে হয় তাহলে বাগমারির একটা জায়গা নির্দিষ্ট করেছি। সেখানেই কবরস্ত করা হবে। এর জন্য পৃথক গেটের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। যাতে মানুষ আতঙ্কিত না হয় তার জন্যই আইসোলেটেটড এলাকায় এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।' 

আরও পড়ুন, লক ডাউনের মধ্যেও চালু ডোনার সুইমিং পুল, প্রশ্ন মহারাজ ঘরনীর সচেতনতা নিয়ে


 

Share this article
click me!