দীর্ঘ লকডাউনের জেরে বন্ধ কলকাতার সকল দর্শনীয় স্থান। খাঁচা বন্দী বাঘমামারাও খানিকটা তাজ্জব অপরিচিত মুখগুলি গেল কোথায়। শুধুই সকাল সন্ধে পরিচারকের সঙ্গেই হচ্ছে দেখা। অপরদিকে শহরের বাচ্চারাও খানিকটা ক্লান্ত। কোথায় গিয়ে গরমের ছুটিতে মজলিস করে লুচি-আলুরদম খেয়ে বাঘ দেখে ভয় পাবে, সেসবই সুযোগ এখন বোধয় এখন অনিশ্চিত। ঝিল পাড়ে পরিযায়ী পাখিদের দেখে কত নাম বলা চেষ্টা করবে, পড়াশোনাটা সে খুবই করে এটা বুঝিয়েই ছাড়বে, সেটাও বুঝি অতীত। আজ্ঞে না, লুচি-আলুরদম বরং এখন পাখার তলায় বসে খেয়ে সরাসরি বাঘ থেকে পরিযায়ী পাখি সবই আসবে ঘরে। তবে হ্য়াঁ মোটেই তাঁরা আমাদের খেয়ে হজম করবে না। বরং মনের সুখে বাচ্চাদের সঙ্গে মা-বাবারও ঘরে বসেই সেই স্বাদ নিতে পারবে আলিপুর চিড়িয়াখানার মোবাইল অ্য়াপে। যার শুভ সূচনা হতে চলেছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার।
আরও পড়ুন, আকাশ থেকে কেমন লাগছে শহরকে, লকডাউনের ছবি তুলে ধরল কলকাতা পুলিশ
আগামীকাল বৃহস্পতিবার, ঠিক বিকেল চারটের সময় খুলে দেওয়া হবে আলিপুর চিড়িয়াখানার অ্য়াপ। 'আলিপুর জ্য়ু' এর নতুন ওয়েবসাইট খুলে দেওয়া হবে। যার মাধ্য়মে ঘরে বসেই দেখতে পাওয়া যাবে, আলিপুর চিড়িখানার সিংহ থেকে শুরু করে সারস পাখি, ওদিকে শিম্পাঞ্জি থেকে শুরু করে সাপ পর্যন্ত। তবে এখানেই শেষ নয় আছে লকডাউনে অনেক বড় উপহার। সদ্য় যেসব হরিণ শাবক কিংবা জিরাফ জন্মেছে তাঁরা সকলেই ধরা দেবে আপনার ডিজিট্য়াল স্ক্রিনে, অ্য়াপের মাধ্য়মে। আগামীকাল অ্য়াপ উদ্ধোধনের সঙ্গে সেই সব নতুন অতিথির নামের তালিকাও প্রকাশিত হবে।
উল্লেখ্য়, লকডাউন শুরুর কিছু দিন আগেই যেমন কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায় জিরাফ ছানার জন্ম হয়েছিল, সে এখন কতটা বড় হয়েছে, কী করছে সবই দেখা যাবে এই আলিপুর চিড়িয়াখানার মোবাইল অ্য়াপে অথবা ওয়েবসাইটে। একটা ক্লিকেই হাতের মুঠোয় আলিপুর চিড়িয়াখানা। এখন আগের থেকে দূষণ মুক্ত বাতাসে তাঁরা যেনও অনেকটাই প্রাণবন্ত। তবে হ্য়াঁ লকডাউনে কোথাও বোধয় অবলারাও নিঃশব্দে বুঝিয়ে দিয়েছে শহরবাসীকে, বন্দি থাকতে তাঁদের ঠিক কেমন লাগে।
বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া, মেডিক্য়ালে চিকিৎসক ও সংক্রামিত রোগী থেকে কোয়ারেন্টিনে অন্তত আরও ৪৫
করোনা পজিটিভ প্রসূতির সুস্থ সন্তান, খুশির হাওয়া ফুলেশ্বরের হাসপাতালে
করোনার কোপ এবার বাইপাসের ধারের বস্তিতে, ১৫০০০ মানুষকে পাঠানো হল কোয়ারেনন্টিনে
ভেন্টিলেশনে করোনা আক্রান্ত রাজ্য়ের স্বাস্থ্য কর্তা ও সার্জন, উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর