লকডাউনে দৃষ্টিহীনদের স্কুলের সাহায্য়ের আবেদনে পড়ল চোখ, খাবার পৌঁছে দিল কলকাতা পুলিশ

  •   দৃষ্টিহীন ছাত্র-ছাত্রীদের একটি আবাসিক স্কুলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল কলকাতা পুলিশ  
  • সম্প্রতি এই স্কুলে খাবার ফুরিয়ে গেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহায্যের আবেদন করে কর্তৃপক্ষ 
  •  সেই আবেদন চোখে পড়তেই স্কুলে গিয়ে রেশন পৌঁছে দিয়ে এলেন কলকাতা পুলিশের কর্মীরা 
  • ছাত্র-ছাত্রীরা কলকাতা পুলিশের এই সাহায্য কোনওদিন ভুলবে না বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ 

Ritam Talukder | Published : Apr 11, 2020 10:52 AM IST


কলকাতার হরিদেবপুরে দৃষ্টিহীন ছাত্র-ছাত্রীদের একটি আবাসিক স্কুলে সাহায্যের হাত এগিয়ে দিল কলকাতা পুলিশ। সম্প্রতি এই স্কুলে খাবার ফুরিয়ে গেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহায্যের আবেদন করে কর্তৃপক্ষ। সেই আবেদন চোখে পড়তেই স্কুলে গিয়ে রেশন পৌঁছে দিয়ে আসেন কলকাতা পুলিশের কর্মীরা।

আরও পড়ুন, এমআর বাঙ্গুরের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৫ রোগীর মৃত্যু, কারণ জানতে অপেক্ষা নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টের

জানা গিয়েছে, হরিদেবপুরের এই আবাসিক স্কুলে অন্তত ১০০ দৃষ্টিহীন ছাত্র-ছাত্রী থাকেন। এদের বেশিরভাগই উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলের বাসিন্দা। এদিকে লকডাউনের মধ্যে ওই ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ি পাঠানো সম্ভব নয়। তাই স্কুলেই থেকে যায় ওই ১০০ দৃষ্টিহীন ছাত্র-ছাত্রী। কিন্তু টানা এতদিন ধরে এতজনের খাবারের ব্যবস্থা করে উঠতে পারছে না স্কুল কর্তৃপক্ষ। টাকাপয়সাও ফুরিয়ে যাওয়ায় কামারডাঙা মোড়ের কাছে অবস্থিত ডিএফ ব্লাইন্ড স্কুল কর্তৃপক্ষ সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহায্যের আবেদন করেন।

আরও পড়ুন, পার্ক সার্কাসের বেসরকারি হাসপাতালে প্রৌঢ়ের মৃত্য়ু, করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই অভিযোগ তুলল পরিবার

অপরদিকে, পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার নজরে পড়ে যায় স্কুল কর্তৃপক্ষের সেই আবেদন। সঙ্গে সঙ্গেই হরিদেবপুর পুলিশ স্টেশনে ওই স্কুল সবরকম সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এরপরই কলকাতা পুলিশের কর্মীরা প্রায় ৩০ ঘণ্টা ধরে স্কুলে সবরকম সুযোগ-সুবিধের ব্যবস্থা করে দেন। ছাত্র-ছাত্রীরা কলকাতা পুলিশের এই সাহায্য কোনওদিন ভুলবে না বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

 

 

এনআরএস-র আরও ৪৩ জন স্বাস্থ্য কর্মীর রিপোর্ট নেগেটিভ, স্বস্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

করোনার রোগী সন্দেহে বৃদ্ধকে বেধড়ক মার, স্যালাইনের চ্যানেল করা হাতে দড়ি পড়ালো মানিকতলাবাসী

করোনায় আক্রান্ত এবার কলকাতার ২ ফুটপাথবাসী, হোম কোয়ারেন্টাইনে উদ্ধারকারীরা



 

Share this article
click me!