লকডাউনের শেষ ল্যাপে কথা শুনবে না পুলিশ। অকারণে রাস্তায় দেখলেই নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা। খোদ এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। রবিবার টুইট করে এই কথা জানিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্র বলছে ৩১০, রাজ্য়ের হিসেবে বাংলায় করোনা আক্রান্ত ১৯৮.
বার বার বলেও বাগে আসেনি কলকাতা। লকডাউনের গুরুত্ব বোঝাতে মাইক নিয়ে প্রচার করেছে পুলিশ। পুরসভাগুলির তরফেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এখনও বাগে আসেনি কিছু লোক। লকডাউনের রাস্তাকে নিত্য় দিনের আড্ডার জায়গা মনে করছে তারা। মেইন রোডে এসব না হলেও পাড়ার অলিতে গলিতে এখনও কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে জমাটি আড্ডা।
রাজ্যে শুরু হচ্ছে করোনার ব়্যাপিড টেস্ট, ১৪টি পরীক্ষাকেন্দ্রের মধ্য়ে আপনার কাছে কোনটি..
রাজ্য়ের করোনার পরিসংখ্যান বলছে, নিত্য়দিন বেড়েই চলেছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। এখন পাড়ায় পাড়ায় সিল করা হয়েছে এলাকা। কলকাতা পুলিশের তরফে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামানো হয়েছে কমব্য়াট ফোর্স। কিন্তু তাতেও কিছু লোকের আনা গোনা থেকেই যাচ্ছে রাস্তায় । যাদের নিয়ে চিন্তা বেড়েছে প্রশাসনের। এবার এদেরকে শায়েস্তা করতে টুইটারে কলকাতার সিপি লিখেছেন, লকডাউন ভাঙলে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমার অফিসারদের বলেছি আমি। কমিশনারের এই টুইট থেকেই স্পষ্ট ৩মে পর্যন্ত থাকা লকডাউনে মারত্মক কড়াকড়ির দিকে হাঁটছে কলকাতা পুলিশ।
রাজ্য়ে 'শুরু' র্যাপিড টেস্ট,সংক্রমণ বেশি ছড়িয়েছে এমন এলাকায় পরীক্ষা.
দেখা গিয়েছে, এলাকায় মানুষকে সচেতন করতে মাইক্রোফোন নিয়ে গান গেয়ে বেরিয়েছেন পুলিশকর্তারা। গ্রেফতারও করা হয়েছিল বহু শহরবাসীকে। এবার কলকাতা শহরে করোনা পজিটিভের খোঁজ আরও বেশি করে মিলতে শুরু করায়, আরও কড়া হতে চলেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই শহরের রেড জ়োনগুলিকে ঘিরে ফেলা হয়েছে। ব্যারিকেড করা হয়েছে বহু জায়গায়। নামানো হয়েছে কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ফোর্স। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, যে সমস্ত বাজার খোলা আছে সে সমস্ত এলাকায় পুলিশ যেন লকডাউন মান্য করার জন্যপর্যাপ্ত বাহিনী নামায়।