বাঙালি হিন্দু সমাজে এটি অন্যতম বিশেষ ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব। সারা বছর ধরে অধীর আগ্রহে মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন দুর্গা পুজোর জন্য। মহালয়ার ভোররাতে রেডিও খুলে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলায় স্তোত্রপাঠ শোনার পরেই মনে হয়, ঢাকের বোলে মেতে উঠেছে প্রকৃতি। সমস্ত অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে, মা আসেন মর্তে। 'মা' আসছে বলে কথা, এই সময়টাই তো পরিবারের সঙ্গে আনন্দে মেতে থাকারই বিশেষ উৎসব। আর এরই মধ্যে নিজেদের নতুন নতুন চিন্তাভাবনা নিয়ে প্যান্ডেলের কাজ শুরু করেছে দুর্গা পুজো কমিটি এবং ক্লাবগুলি। নতুন নতুন থিমের পুজো ও সাবেকিআনায় মেতে ওঠে বাংলা।
দেখে নিন- নাম লেখাননি এখনও, দেরি না করে অংশ নিন এশিয়ানেট নিউজ শারদ সম্মান ২০১৯-এ
একইভাবে পুজো প্রস্তুতিতে মেতে উঠেছে লেকটাউন অধিবাসীবৃন্দ। এবছর ৫৭ তম বর্ষে পদার্পণ করবে এই ক্লাব। লেকটাউন অধিবাসীবৃন্দের অভিনব ভাবনা-"নব পত্রিকা নয় নয়টি পাতা মাতৃরূপেন সংহস্তিতা"। ‘নবপত্রিকা’হল দুর্গাপুজোর বিশিষ্ট অঙ্গ । প্রচলিত ভাষায় যাকে বলা হয় ‘কলা বৌ’। দেবী দুর্গার নয়টি বিশেষ রূপের কল্পিত প্রতীকরূপে নয়টি উদ্ভিদ কদলী বা রম্ভা (কলা), কচু, হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব (ডালিম), অশোক, মান ও ধানের সমন্বয়ে শুরু হয় এই পূজা। শিল্পীরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দেবীর এই নয়টি রূপ তুলে ধরার প্রয়াস করেছেন।
আরও পড়ুন- সামাজিক সচেতনতায় অঙ্গীকারবদ্ধ বাঁশদ্রোণি একতা, কেমন হবে তাদের পুজোর থিম!
এই পুজোর থিম শিল্পী প্রদীপ বারুই এবং প্রশান্ত দাস এর কোথায়- "প্রাচীন কাল থেকে আমরা বৃক্ষ কে মা রূপে পুজো করে আসছি এবং নবপত্রিকার এই আঙ্গিকটি নেয়ার মূল কারণ হল সমাজ কে 'গ্লোবাল ওয়ার্মিং' এর বিরুদ্ধে বার্তা দেয়া ও সতর্ক করা। আমরা আমাদের এই থিম এর দ্বারা দর্শকদের আবেদন জানাতে চাই যে গাছ বাঁচান এবং পরিবেশ কে সন্দর রাখুন"। লেকটাউন অধিবাসীবৃন্দের থিম বাজেট এবার ১২ লাখ।এই অসাধারণ এই মণ্ডপটির নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে- বাঁশ, প্লাই, খড় ইত্যাদি। নবপত্রিকা নিয়ে এই অভিনব ভাবনা নিজের স্বচক্ষে দেখতে আসতেই পারেন লেকটাউন অধিবাসীবৃন্দে।