ORS আবিষ্কারের জনক তিনি, চলে গেলেন বিশ্বখ্যাত চিকিৎসাবিদ দিলীপ মহলানবিশ

প্রায়ত চিকিৎসক দিলীপ মহলানবিশ। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। শনিবার রাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। তিনি ওআরএস-এর জনক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গেও কাজের অভিজ্ঞতা ছিল তাঁর। 

Web Desk - ANB | Published : Oct 16, 2022 9:16 AM IST / Updated: Oct 16 2022, 04:08 PM IST

চলে গেলেন বিখ্যাত বাঙালি চিকিৎসক তথা ওআরএস-একর জনক অধ্যাপক দিলীপ মবলানবিশ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই বাধ্যক্যজনিত কারণে ভুগছিলেন তিনি। শনিবার রাতে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। দিলীপ মহলানবিশের জন্ম হয় ১৬৩৪ সালে। ১৯৬৪ সাল থেকেই ওআরএস নিয়ে গবেষণার  কাজ শুরু করেন। ১৯৭৩ সালে জন হপকিনস মেডিক্যাল জার্নালে তাঁর প্রথম তাঁর গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়। পাশাপাশি ল্যানেসেট প্রত্রিকাও তাঁর গবেষণাকে স্বীকৃতি দেয়। তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় রীতিমত সক্রিয় ছিলেন। সীমান্ত এলাকার ক্যাম্পগুলিতে কাজ করেছেন। সেই সময় তাঁর উদ্যোগেই বহু মানুষকে ওআরএস খাইয়ে কলেরার মত ভয়ঙ্কর রোগের হাত থেকে বাঁচানো হয়েছিল। 

বর্তমানে গোটা দেশ পাশাপাশি প্রতিবেশী বাংলাদেশও মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর উদযাপন করছেন। আর সেই সময়ই চিকিৎসক দিলীপ মহলানবিশের মৃ্ত্যুর খবর সামনে এসেছে। মুক্তি যুদ্ধের সময় বনগাঁ সীমান্তে রীতিমত দাপটের সঙ্গেই শরণার্থীদের সেবা করেছিলেন তিনি। তাঁকে সেই সময় স্থানীয় মানুষের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে আসা আমানুষও একটি শান্ত নম্র বাঙালি চিকিৎসক হিসেবে দেখতেন। মুক্তি যুদ্ধের দিনগুলিতে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। 

তবে তাঁর অন্য কৃতিত্বও রয়েছে। তাঁর তৈরি ওআরএস বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের প্রাণ  বাঁচিয়েছে। যাদের অধিকাংশই শিশু। ডিহাইড্রেশন বা শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত। মৃত্যুর হাত থেকে অসুস্থ রোগীকে বাঁচাতে তিনি নুন আর চিনের জল খাওয়াতে শুরু করেন। তাতেই তিনি নতুন পথ দেখাতে শুরু করেন বিশ্ববাসীকে।প্রতিকূলতা সমস্ত উদ্ভাবনের জননী, এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় শরণার্থী শিবিরের প্রতিকূলতা তৈরি হয়েছিস। সেই সময় অনেকেই কলেরায় আক্রান্ত হয়েছিল। কলেরা মহামারীর সময় স্যালাইন ফুরিয়ে গিয়েছিল। তাই ডাঃ দিলীপ মহলানাবিস, একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ এবং একজন ক্লিনিক্যাল বিজ্ঞানী, জুগাদের উপর নির্ভর করেছিলেন এবং জনস হপকিন্স ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মেডিকেল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের সহায়তায় ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট স্যাচেট বা ওআরএস তৈরি করেছিলেন। বেলেঘাটা আইডিতে বসেই এটি তৈরি করেছিলেন। যে ঘরে এটি আবিষ্কার কেরছিলেন সেটি এখনও সংরক্ষিত রয়েছে। 
ক্ষুধার রাজ্যে 'ভারত' গদ্যমান, গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স রিপোর্ট পেশ হতেই মোদীকে তোপ কংগ্রেসের

বিশ্ব ক্ষুধা সূচক রিপোর্ট ভুল আর পক্ষপাতিত্বে ভরা, বিবৃতি দিয়ে জানাল কেন্দ্র

Health Tips: লিভারের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পাতে রাখুন এই ৫টি খাবার


তাঁর তৈরি জীবনদায়ী ওষুধ এখনও ব্যবহার হয়। ডায়েরিয়ার মত রোগে এটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তবে তিনি তেমনভাবে কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে স্বীকৃতি পাননি। ওআরএস-এর ব্যবহার বাড়লেও তিনি বরাবরই থেকে গেছেন লোকচক্ষুর অন্তরালে।

Share this article
click me!