উত্তর ২৪ পরগনা থেকে উদ্ধার হয় বাগুইআটির দুই ছাত্রের দেহ। তাদের অপহরণ করে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে। ধৃতদের নাম, শামিম আলি, শাহিন আলি, দিব্যেন্দু দাস। যদিও ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী ও আর একজনের এখনও খোঁজ মেলেনি।
দশম শ্রেণির দুই ছাত্রকে খুনের অভিযোগ বাগুইআটির বাসিন্দা সত্যেন্দ্র চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ঘটনা জানাজানি হতেই অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয় স্থানীয়রা। ভাঙচুর চালানো হয় সত্যেন্দ্র চৌধুরীর বাড়িতে। জানা যাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরেই নিখোঁজ ছিল বাগুইআটির ওই দুই যুবক। অবশেষে সোমবার দুই ছাত্রের দেহ উদ্ধার করা হয়।
উত্তর ২৪ পরগনা থেকে উদ্ধার হয় বাগুইআটির দুই ছাত্রের দেহ। তাদের অপহরণ করে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে। ধৃতদের নাম, শামিম আলি, শাহিন আলি, দিব্যেন্দু দাস। যদিও ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী ও আর একজনের এখনও খোঁজ মেলেনি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমত খেপে ওঠে এলাকাবাসী। উত্তেজিত জনতা চড়াও হয় অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীর বাড়িতে। বাড়ির মধ্যে ঢুকে ভাঙচুর করা হয় আসবাবপত্রও।
পরিবারসূত্রে জানা যাচ্ছে ২২ অগাস্ট থেকেই খোঁজ মেলেনি ওই দুই ছাত্রের। নিখোঁজ দুই পড়ুয়া অভিষেক নস্কর ও অতনু দে। অভিষেকের বয়স ১৬ বছর এবং অতনুর বয়স ১৭ বছর। দুজনেই হিন্দু মহাবিদ্যাপীঠে দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। বাগুইআটির আট নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অভিষেক ও অতনুর খোঁজ না মেলায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল নিকটবর্তী থানায়। নিহত ছাত্রের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে প্রথমে এক লাখ ও পরে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে তাদের কাছে। এরপর ২২ অগস্টই সন্ধ্যায় ন্যাজাট থানা এলাকায় এক জনের দেহ উদ্ধার হয়। পরের দিন ২৩ অগাস্ট মিনাখাঁ এলাকায় মেলে আর একজনের দেহ।
আরও পড়ুন - এবার সিবিআই-এর নজরে অনুব্রতর চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, কেষ্ট-ঘনিষ্ঠদের বাড়িতেও চলল অভিযান
তদন্তে জানা গিয়েছে ২২ তারিখ, নিজের গাড়িতেই ওই দুই পড়ূয়াকে নিয়ে যান সত্যেন। তারপর যান রাজারহাটের একটি মোটরবাইকের দোকানে। সেখান থেকে বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ে ধরে বেড়িয়ে যান তাঁরা। পুলিশ সূত্রে খবর গাড়ির মধ্যেই দুই ছাত্রকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়।
আরও পড়ুন - 'পার্থ-অনুব্রত দলের পচে যাওয়া অংশ', জহর সরকারের মন্তব্যে অস্বস্তি বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরে