Bansdroni Murder: বাঁশদ্রোণী খুনে দায়ী ভাইয়ের বৌয়ের প্রেমিকই, বিহার থেকে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত

Published : Dec 13, 2021, 12:16 PM ISTUpdated : Dec 13, 2021, 12:43 PM IST
Bansdroni Murder: বাঁশদ্রোণী খুনে দায়ী ভাইয়ের বৌয়ের প্রেমিকই, বিহার থেকে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত

সংক্ষিপ্ত

বাঁশদ্রোণী হত্যাকাণ্ডে ভিনরাজ্য থেকে পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত।  পুলিশ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভাইয়ের বৌয়ের প্রেমিকাই প্রধান কালপ্রিট।  

বাঁশদ্রোণী হত্যাকাণ্ডে (Bansdroni Murder Case) ভিনরাজ্য থেকে পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত। সপ্তাহ খানেক আগেই বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের (Extra Marrital Affair) জেরে খুন হতে হয়েছে সোনালি পার্কের বাসিন্দা মুকেশ সাউকে।  বাঁশদ্রোণী খুনে অবশেষে রহস্য়ভেদ করল পুলিশ। পুলিশ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভাইয়ের বৌয়ের প্রেমিকাই প্রধান কালপ্রিট।  বিহার থেকে রাজীবকুমার (Rajib Kumar)  নামে ওই ব্যক্তিকে ইতিমধ্য়েই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাঁশদ্রোণী এলাকা থেকেই অভিযুক্ত মহিলাকেও পাকড়াও করেছে পুলিশ (Kolkata Police) ।

সোনালি পার্কে সেই রাতে ঠিক কী হয়েছিল 

উল্লেখ্য, ৭ ডিসেম্বর সোনালি পার্কে নিজের বাড়ির সামনে থেকে মুকেশ সাউ নামে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করেন তাঁর ভাই সঞ্জয়। স্ত্রী ও ছেলেকে নিেয় সোনালি পার্কের বাড়িতেই থাকতেন মুকেশ। স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নভেম্বর মাসেই দুই ছেলেকে নিয়ে বিহারে গিয়েছিলেন মুকেশের স্ত্রী। তারপর গতকাল অবধি সোনালি পার্কের বাড়িতে একাই ছিলেন মুকেশ। ঘটনার আগের রাতে একটি বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রনে গিয়ে বাড়িও ফেরেন বলে খবর। এরপরের সকালেই নিজের বাড়ির সামনেই মুকেশের রক্তাক্ত মৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সকালে প্রথম মুকেশ দেহ দেখতে পান তার ভাই সঞ্জয় সাউ। তিনি বাঁশদ্রোণী থানায় খবর দেন। এরপরেই ঘটনাস্থলে এসে পৌছয় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মুকেশের গলায় ধারালো অস্ত্রের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। পাশপাশি তাঁর কাঁধে , ডান হাতে ক্ষত চিহ্ন মিলেছে।  তদন্তে নামে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকেরা।

আরও পড়ুন, TMC Leader-Murder Case: তৃণমূল নেতা খুনে ধৃত ৪, চক্রান্তের হদিশ পেতে ম্যারাথন জেরা শুরু পুলিশের

আরও পড়ুন, Dilip Ghosh: 'গোয়ার মানুষকে কী ভেবেছেন উনি', মমতার 'গৃহলক্ষ্মী' প্রস্তাব নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ

ধৃত রাজীবের সঙ্গে ললিতার কী সম্পর্ক রয়েছে

 তবে খুনের ঘটনার কিনারা করতে গিয়েই ভিতরাজ্যে রওনা দেন তদন্তকারীর দল। পুলিশ সূত্রে খবর, বিহারের বাঁকা জেলা থেকে রাজীব কুমার নামে একজনকে এই ঘনায় মূল অভিযুক্ত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পাশপাশি কলকাতা থেকেই গ্রেফতার করা হয় ললিতা সাউকে। যিনি সম্পর্কে মৃত মুকেশের ভাইয়ের স্ত্রী। তদন্তাকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ধৃত রাজীবের সঙ্গে ললিতার কোনওও সম্পর্ক রয়েছে। রাজীব মুঙ্গের জেলার সংগ্রামপুর এলাকার বাসিন্দা। তবে খুনের পর সে পালিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে বাঁকা জেলা থেকেই পুলিশ তাঁকে পাকড়াও করেছে। ললিতার সঙ্গে ধৃতকে রাজীবের বর্হিভূত সম্পর্কের জেরেই এই খুন হল কীনা, এনিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কীভাবে খুন করা হল মুকেশকে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারীর দল।

কিন্তু কেন খুন করেছিল রাজীব

কিন্তু কেন খুন করেছিল রাজীব। জেরার তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, রাজীবের সঙ্গে মুকেশের ভাইয়ের স্ত্রীয়ের বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল। মুকেশ সে কথা জানতে পেরে গিয়েছিলেন। তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ান তিনি। দুজনের সম্পর্কে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ান মুকেশ। তাঁর থেকেই ক্ষোভ বাড়তে থাকে। নিজেদের সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য মুকেশকে খুনের পরিকল্পনা করে রাজীব। এরপরে ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে দেওয়া হয়। সেই চাকু ধরিয়ে দেওয়া হয় মুকেশের হাতে।

 

 

PREV
click me!

Recommended Stories

প্রতিদিন বাদ যাচ্ছে ১ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম! SIR-এ কত ভোটার বাদ যাবে জানেন?
স্বামী প্রান্তিককে সঙ্গে নিয়ে 'ফুল' বদল রাজন্যার! ভোটের আগে কোথায় যাচ্ছেন তৃণমূলের বহিস্কৃত নেত্রী?