সংক্ষিপ্ত
গোয়ায় তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এলে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। ঘাসফুলের সম্প্রতিকালের এই প্রতিশুতির ইস্যুতেই এবার পি চিদম্বরমের খোঁচার পর মুখ খুললেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
গোয়ায় তৃণমূল সরকার (TMC in Goa) ক্ষমতায় এলে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। ঘাসফুলের সম্প্রতিকালের এই প্রতিশুতির ইস্যুতেই এবার পি চিদম্বরমের খোঁচার পর মুখ খুললেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ (BJP Leader Dilip Ghosh)।
উল্লেখ্য, সামনেই গোয়া বিধানসভা ভোট। যার দিকে তাঁকিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি গোয়াবাসীর জন্য একটি বিশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তৃণমূল। সেই রাজ্য়ে ক্ষমতায় এলে ৫ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল। গোয়ায় নিজেদের জমি শক্ত করার লক্ষ্যে বাংলার 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'-এর মতোই গোয়ায় গৃহলক্ষী নামে এক বিশেষ স্কিমের কথা বলা হয়েছে সেখানে। ২০২২ সালে নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসলে সেখানে এই প্রকল্প চালু করা হবে। এর আওতায় নিয়ে আসা হবে গোয়ার সাড়ে ৩ লক্ষ পরিবারকে। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাসে ৫ হাজার টাকা করে পাবেন ওই পরিবারের মহিলারা। মুখ্যমন্ত্রীর গোয়া সফরের আগের দিনই এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন মহুয়া মৈত্র। আর তৃণমূলের এই ঘোষণাতেই তোপ দেগেছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিন সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতাকে নিশানা করে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'উনি চেষ্টা করে যান। ত্রিপুরায় গিয়েছে দেখে নিয়েছেন। এবার গোয়ায় যাচ্ছেন। যেখানে পার্টি শুরু হয়নি, সেখানে গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় গোয়ার মানুষকে ভিখারি মনে করেছেন, তাই সেখানকার মানুষকে লোভ দেখাচ্ছেন। বাংলার লোককে ভিখারি বানিয়েছেন। এবার গোয়ার লোককে এরকমই হয়তো ভাবছেন তিনি।' এদিকে তৃণমূলের এই প্রতিশ্রুতি ঘিরে মুখ খুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত বলেছেন, বিজেপি গোয়ায় অত্যন্ত শক্তিশালী। 'আমাদের কোনও চিন্তা নেই। অবাস্তব কিছু ঘোষণা করছেন৷ ৫ হাজার টাকা দিতে গেলে কত টাকা লাগে ওরা জানে না। ক্ষমতায় আসবে না জেনেই ঘোষণা করা হয়েছে।'
অপরদিকে, তৃণমূলের এই গোয়ায়, গৃহলক্ষী নামের স্কিমের প্রস্তাব শুনতেই কটাক্ষ করেছেন গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা তথা দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী চিদম্বরম। তিনি বলেছেন' এই সহজ অঙ্কের জন্য অর্থনীতিতে নোবেল পুরষ্কার পাওয়া উচিত।' চিদম্বরমের এই টুইটের পর পাল্টা তৃণমূল সাংসদ তথা গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত মহুয়া মৈত্র টুইট করে বলেন, 'অর্থনীতি বলে করোনা পরবর্তী সময়ে মানুষের হাতে বেশি করে নগদ টাকা দেওয়ার কথা, কারণ এর ফলে মানুষের সাহায্য হবে।' প্রসঙ্গত, গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনের দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছে দেশের রাজনীতিবিদরা। আর আপাতত এই ছোট রাজ্য দিয়েই জাতীয় স্তরে জায়গা আরও মজবুত করে নিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই কারণেই গোয়া সফর তৃণমূল সুপ্রিমোর। বিধানসভা নির্বাচনে সেখানে বিজেপিকে বড় ধাক্কা দিতে চায় ঘাসফুল শিবির। ওই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরোকে দলে টেনে ইতিমধ্যেই সেই ইঙ্গিত দিয়েছে তারা। এবার ফালেইরোর হাত ধরে সেখানে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টায় রয়েছে তৃণমূল। গোয়ায় তৃণমূলের সংগঠন বাড়াতে ও নির্বাচনী প্রচার কোনপথে চলবে, তা ঠিক করে দেবেন মমতা।